লালমনিরহাট জেলা কারাগারের ১৪ জন কারারক্ষীকে এক যোগে ¯ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে।কারা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত কারা মহা পরিদর্শক স্বাক্ষরিত এক আদেশে ওই ১৪ জনকে ¯ট্যান্ড রিলিজ করে প্রশাসনিক কারনে দেশের বিভিন্ন কারাগারে পদায়নের নির্দেশ দেন।
মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় লালমনিরহাট জেলা কারাগারের জেল সুপার বিশোর কুমার নাগ ¯ট্যান্ড রিলিজের বিষয়টি স্বীকার করলেও কি কারনে এক সাথে ১৪ জন কারারক্ষীকে ¯ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে তা বলতে তিনি রাজি হননি।
তবে মাদক সংশ্লিষ্টতাসহ বিভিন্ন গুরুতর অভিযোগ রয়েছে এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে লালমনিরহাট কারাগারের ১৪ জন কারারক্ষীকে ¯ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছছে বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সুত্র জানিয়েছে। আদেশ জারির পরপরই ১৪ জন কারারক্ষী বর্তমান কর্মস্থল লালমনিরহাট জেলা কারাগার থেকে ছাড়পত্র নিয়ে ইতিমধ্যে চলে গেছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে লালমনিরহাট জেলা কারাগারের জেল সুপার বিশোর কুমার নাগ বলেন, আদেশ জারির পরপরই ওই ১৪ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে তিনি কোনও তথ্য দিতে রাজি হননি।
তবে কারাগার সংশ্লিষ্ট একাধিক নির্ভরযোগ্য সুত্র জানায়, একটি গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতেই ১৪ কারারক্ষীকে ¯ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে।
¯ট্যান্ড রিলিজ হওয়া ওই কারারক্ষীদের গতিবিধি ও কার কার সাথে তাদের যোগাযোগ সবকিছু পর্যালোচনা করেই তাদের বিরুদ্ধে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে প্রতিবেদন দাখিল করে সংস্থাটি।
এদিকে গত ১৩ সেপ্টেম্বর লালমনিরহাট কারাগার উড়িয়ে দেওয়ার হুমকিমূলক একটি চিঠি পান কারাগার কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে জেল সুপার সদর থানায় জিডি করলে কারাগারের নিরাপত্তা জোরদার করে জেলা পুলিশ। হুমকি এবং জিডির ঠিক ১ দিন পর ১৪ সেপ্টেম্বর কারা অধিদপ্তর থেকে এক জরুরি আদেশে ১৪ কারারক্ষীকে ¯ট্যান্ড রিলিজ করা হয়।
উল্ল্যেখ্য, লালমনিরহাট জেলা কারাগারে বর্তমানে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের ২০ জন সক্রিয় সদস্য আটক রয়েছে।