রাজশাহীর বাঘায় আফরোজা খাতুন আঁখি (২১) নামের এক কলেজ পড়-য়া ছাত্রী ও গৃহবধু স্বামীর উপর অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সে রাজশাহী কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের অনার্সের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী এবং উপজেলার আলাইপুর সরকারপাড়া গ্রামের আনিসুর রহমান সবুজের স্ত্রী। পুলিশ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।
জানা যায়, তারা স্বামী স্ত্রী উভয়ে রাজশাহী কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের অনার্সের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। লেখাপড়া করা অবস্থায় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। একপর্যায়ে উভয় পরিবারের সস্মতিক্রমে ১৩ মাস আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসার ও লেখাপড়া ভালই চলছি। এরমধ্যে স্বামী বেকার হওয়ায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। এই নিয়ে বুধবার তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। তর্কবির্কের পরও তারা রাতের খাবার খেয়ে একই ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। ভোর ৫টার দিকে দেখেন স্ত্রী নিজ শয়ন ঘরের তীরের সাথে ঝুলছে। পরিবারকে জানিয়ে পরে বাঘা থানায় খবর দেয়া হয়। পুলিশ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।
আনিসুর রহমান সবুজের পিতা মহিরুজ্জামান সাগর জানান, আমার ছেলে ও বৌমা উভয়ে রাজশাহী কলেজে হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ে পড়ালেখা করে। তারা প্রেম করে বিয়ে করে। ছেলে বেকার থাকায় তাদের মধ্যে মাঝে মধ্যে ঝড়গা বিবাদ হতো। এই ঘটনায় বুধবার তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে নিজ ঘরে ঘুমাতে যায়। ভোরে ছেলে ঘুম থেকে উঠে দেখে ছেলের স্ত্রী উড়না দিয়ে গলায় জড়িয়ে ফাঁস দিয়ে তীরের সাথে ঝুলছে।
আফরোজা খাতুন আঁখি রাজশাহী মহানগরের কোর্ট এলাকার মোল্লাপাড়া মহল্লার আবুল হোসেনের মেয়ে ও আনিসুর রহমান সবুজ বাঘা উপজেলার আলাইপুর সরকারপাড়া গ্রামের মহিরুজ্জামানের ছেলে।
বাঘা থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে এ বিষয়ে একটি ইউডি মামলা হয়েছে।