পাবনার সুজানগরে বেলুন বিক্রি করে শামীম রেজা (১৮) নামে এক কিশোর স্বাবলম্বী হয়েছে। সে উপজেলার চরবিশ্বনাথপুর গ্রামের রমজান আলীর ছেলে। শামীমের বাবা রমজান আলী একজন দিনমজুর। আর সেকারণে তিনি শামীমকে লেখা-পড়া শেখাতে পারেননি। ফলে শামীমের বয়স যখন ১৫/১৬ বছর তখন থেকেই সে সংসারের ব্যয়ভার মেটাতে বাবার সাথে দিনমজুরের কাজ করতো। বেশ কিছুদিন দিনমজুরর কাজ করার পর সে ওই কাজ ছেড়ে দেয়। এরপর সে ভাগ্যের চাকা ঘুরানোর স্বপ্ন নিয়ে ঢাকার চক বাজারে ছুটে যায়। কথায় আছে ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়। সত্যই শামীমের অদম্য ইচ্ছে তার ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার পথ দেখায়। সে চক বাজারের রাস্তায় তার সমবয়সী এক কিশোরকে চায়না থেকে আমদানি করা বিভিন্ন জীবজন্তু ও বস্তুর ছবি সম্বলিত দৃষ্টিনন্দন রঙিন বেলুন বিক্রি করতে দেখে নিজেও বেলুন বিক্রিতে আগ্রহী হয়ে উঠেন। একপর্যায়ে সে ওই কিশোরের মাধ্যমে চকবাজারের এক পাইকারী বেলুন বিক্রেতার কাছ থেকে কিছু বেলুন কিনে ঢাকার বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে আসা শিশু-কিশোরদের কাছে বিক্রি করতে থাকে। প্রতিটি বেলুন ১৫/২০টাকা দরে কিনে তা ২৫ থেকে ৩০টাকা দরে বিক্রি করে। এভাবে সে ঢাকা শহরে বেশ কিছুদিন বেলুন বিক্রি করার পর নিজ জেলা পাবনাসহ সিরাজগঞ্জ, নাটোর, রাজশাহী এবং বগুড়াসহ বিভিন্ন জেলায় ওই বেলুন বিক্রি করতে থাকে। দীর্ঘ ৪/৫বছর দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে খুচরার পাশাপাশি পাইকারি দরে বেলুন বিক্রি করার একপর্যায়ে সে সংসারে সচ্ছলতা ফিরে পায়। গত বুধবার সুজানগর পৌর বাজারে বেলুন বিক্রিকালে এই প্রতিবেদককে সে জানায় ৪/৫বছর আগে আমি যখন দিনমজুরের কাজ ছেড়ে দিয়ে ঢাকায় যাই তখন আমাদের ৬ সদস্যের সংসারে বেশ অভাব-অনটন ছিল। সে সময় খেয়ে না খেয়ে আমাদের দিন কাটাতে হয়েছে। কিন্তু বেলুন বিক্রি করে বর্তমানে আমি স্বাবলম্বী। এখন আর আমাদের সংসাবে অভাব নেই।