ভারতের উজানের পাহাড়ি ঢল ও গেল ২৪ ঘণ্টার বৃষ্টিতে তিস্তা-ধরলা নদীর পানি কম থাকলেও তীরবর্তী নদণ্ডনদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। পানি বৃদ্ধির কারণে প্লাবিত হয়ে পড়েছে নিম্নাঞ্চলসহ চরাঞ্চলগুলো। ক্ষতির মুখে পড়েছেন তীরবর্তী কৃষকরা।
বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে ধরলা নদীর পানি লালমনিরহাটে বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপরে। তবে তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, ভারত থেকে নেমে আসা উজানের পাহাড়ি ঢল ও গত ২৪ ঘণ্টার বৃষ্টিতে তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি কম থাকলেও বেড়েছে নদণ্ডনদীর পানি। আর এসব নদণ্ডনদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল গুলো প্লাবিত হয়ে পড়েছে। পানিতে ডুবে আছে আবাদি ক্ষেত। গেল বন্যার ধকল না কাটতেই গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষনে ফের বন্যার আশঙ্কায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন তিস্তা ও ধরলার তীরবর্তী কৃষকরা।
রাজপুর ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের কৃষক মফিজুল হক জানান, গতরাত থেকেই একটানা বৃষ্টি চলছে। যার কারণে পানি বেড়ে ফসলি জমি ডুবে গেছে। এভাবে প্রতি বছর ক্ষতি হতে থাকলে আমাদের বেঁচে থাকা মুশকিল।
তীরবর্তী অপর কৃষক জমশের আলী বলেন, শাক-সবজিসহ বিভিন্ন ফসল চাষ করেছি। কিন্তু এক রাতে সব ডুবে গেছে পানিতে। এখন আমাদের সংসার চলা দুষ্কর হয়ে যাবে।
দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি প্রবাহ বিকেল ৩টায় বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আপাতত সবগুলো জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। ভারত ও দেশের এ অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের কারণে পানি প্রবাহ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে বড় ধরনের বন্যার কোনো সতর্কবাণীনেই বলে জানান তিনি।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে ছোট ছোট নদণ্ডনদীর পানি বেড়ে যায়। এভাবে অনবরত বৃষ্টিপাত হলে বন্যা পরিস্থিতি অবনতির দিকে যেতে পারে।