পঞ্চগড়ে বাড়িতে প্রবেশ করে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট, গুরুতর জখম, শ্লীলতাহানীসহ একাধিক অপরাধের বিচার প্রার্থীর নামে মিথ্যা মামলা করেছে প্রতিপক্ষ আসামি সামিউল ইসলাম।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৭ আগস্ট দুপুরে একটি বিড়াল ছানাকে কেন্দ্র করে সামিউল ইসলাম (৪০) ও তার ছেলে আহসান হাবীব (১৯) প্রতিবেশী মো: রাজুর পরিবারের প্রতি চড়াও হয়ে বিভিন্ন গালাগাল করতে থাকে। এ সময় কেন গালাগালি করছে রাজুর মায়ের এমন প্রশ্নের প্রেক্ষিতে তারা আরো বেশি উত্তেজিত হয়ে যায়।
একপর্যায়ে বাড়ি থেকে একটি ধাড়ালো ছুড়ি নিয়ে সামিউলের ছেলে শের এ বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র আহসান হাবীব রাজুর মা বোনকে এলোপাথারী কোপাতে থাকে। স্থানীয়রা ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের চিকিৎসা প্রদান করে ভর্তি করে নেন এবং একজনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এ ঘটনার পর মো: রাজু (২৬) প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজনদের পরামর্শে মা ও দুই বোনকে কোপানোর বিচার চেয়ে ৯ আগস্ট পঞ্চগড় সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ২৫, তারিখ- ৯ আগস্ট ২০১৯ ইং। মামলার বাদী ও বিবাদী উভয়েই পঞ্চগড় সদর উপজেলার উত্তর জালাসী পাড়ার বাসিন্দা।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী উত্তর জালাসী পাড়ার মো: তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মো: রাজু ইসলাম জানায়, আমরা মামলাটি করার পর থেকে তারা মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে আমাদের হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। বাড়ির পাশে বাড়ি হওয়ায় প্রায় প্রতিদিনই তারা বিভিন্নরকম অশ্লীল গালাগাল করতে থাকে। মামলা তুলে নিতে আমাদের বাধ্য করা হবে বলে হুমকি প্রদান করে।
তারই ধারাবাহিকতায় গত ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ইং বিনা কারণে আমার পরিবারকে গালাগাল করতে থাকে। গায়ে পড়ে লাগতে আসার কৌশলটি বুঝতে পেরে আমি আমাদের সবাইকে চুপ থাকতে বলি। এতে তারা আমাদের সাথে ঝগড়া বাঁধাতে না পেরে গভীর রাতে নিজের রান্না ঘরের খড়ি সরিয়ে রেখে আমাদের ফাঁসাতে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতেও তারা পাড়া-প্রতিবেশীর সাড়া না পেয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর ঘরে আগুন লাগানোর কথাটি গোপন রেখে তাদের মারপিট করা হয়েছে মর্মে পঞ্চগড় সদর থানায় একটি হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা করে।