গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টির কারণে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার গোড্ডিমারীতে অবস্থিত দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
উজানের পাহাড়ী ঢল ও ভারী বর্ষণে তিস্তায় আকস্মিক এ পানি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এতে উত্তরাঞ্চলের লালমনিরহাট, নীলফামারী ও রংপুরের তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল এলাকাসমূহ প্লাবিত হয়েছে। এতে কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সকালে হঠাৎ তিস্তার পানিপ্রবাহ বাড়তে থাকে। রাতে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে পানিপ্রবাহ হলেও সকালে বেড়ে উল্টো বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানিপ্রবাহ হতে শুরু করে।
দুপুর ১২টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ভারতের সিকিম, শিলিগুড়ি, দার্জিলিংসহ আশপাশে ভারীবর্ষণ ও উজানের ঢলের কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমরা আশা করছি বিকেলের মধ্যেই এ পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে।
হাতীবান্ধা উপজেলার গোড্ডিমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল বলেন, ‘হঠাৎ তিস্তায় বন্যা দেখা দেওয়ায় অনেক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, তিস্তার পানিবৃদ্ধি পেয়ে বন্যার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলার ইউএনও এবং জনপ্রতিনিধিদের মনিটরিং করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করার কথা বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।