বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, সীমাহীন দুর্ণীতিতে লিপ্ত আছে আওয়ামী লীগ সরকার। মামলা-হামলা, জুলুম, অত্যাচার নির্যাতন করে বেশি দিন ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না। এসরকারের পতন হবেই।
তিনি বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁর নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালী-৫ আসনের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মানিকপুরের গ্রামের বাড়ীতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি, বসুরহাট পৌরসভা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, কৃষকদল ও দলীয় সহযোগি সংগঠনের এক যৌথ সভা চলাকালে টেলি কনফারেন্সে এই কথাগুলো বলেন।
তিনি আরও বলেন, দেশে যে দুর্যোগ চলছে, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, সর্বত্র দুর্ণীতির মহা উৎসব চলছে এতে জনগণ কঠিন সময় পার করছে। এ সরকার শেষ সরকার নয়, লাগামহীন দূর্নীতির কারণে এ সরকারের পতনও সময়ের ব্যাপার। এজন্য দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনগণের পাশে থেকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
যারা দলের মধ্যে বিভেদ ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করে তাদের বিষয়ে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এদের শধরানোর সময় দেয়া হলো। এরপরও তারা যদি দলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তাদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীরা সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে এধরনের অপকর্ম করে যাচ্ছে।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র কামাল উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান রিপনের সঞ্চালনায় যৌথ সভায় বক্তব্য রাখেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নুরুল আমিন নুরু চেয়ারম্যান, আবদুল মতিন তোতা চেয়ারম্যান, যুগ্ম-সম্পাদক আবদুল হাই, সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত হোসেন ছগির, প্রচার সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, বসুরহাট পৌরসভা বিএনপির সভাপতি আবদুল মতিন লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক, উপজেলা যুবদলের সভাপতি ফজলুল কবির ফয়সল, সাধারণ সম্পাদক জাহেদুর রহমান রাজন, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি আতোয়ার হোসেন পাভেল, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল হক আরিফ, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাফেজ আবদুল হক শাহজাহান, রামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল কাশেম বুলবুল মেম্বার, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বেলাল, চরকাঁকড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোশারেফ হোসেন বাহার প্রমূখ।
যৌথসভা শেষে বিএনপি নেতৃবৃন্দ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিএনপির উপজেলা কমিটির সাবেক সভাপতি আবদুল হাই সেলিম ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম সিকদার কখনো দলীয় শৃঙ্খলা মোতাবেক কোন দলীয় কর্মকাণ্ড করেননি। উপরন্তু দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে সরকারী দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নে লিপ্ত ছিলেন। তারাই এখন দলীয় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং কোন্দল, উপকোন্দল সৃষ্টি করে দলকে বিভাজন করে রেখে সরকারী দল থেকে ফায়দা লুটতেছে। সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও স্থানীয় নির্বাচনগুলোতেও সরকারী দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে নিজেদের পকেট ভারী করেছেন। পরবর্তিতে দল নেতৃত্বশূন্য হলে দলের সকল কাউন্সিলর-ডেলিগেটদের ডেকে নিয়ে তাদের পরামর্শক্রমে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ যে কমিটি করে দিয়েছেন সে কমিটিই এখন দলীয় সকল কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আমরা সকলে ব্যরিস্টার মওদুদ আহমদের নেতৃত্বে দলীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপর আনুগত্য রেখে ঐক্যবদ্ধ ছিলাম, আছি এবং থাকবো।