করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট পেয়ে আইসোলেশনের বেড়াজাল ছিন্ন করে মূল দলের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন আট ক্রিকেটার। মূলত আইসোলেশন থেকে ফেরা ব্যাটসম্যান-বোলাররাই এদিন সেন্টার উইকেটে ব্যাটিং, বোলিং করেছেন। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, হাসান মাহমুদ, খালেদ আহমেদদের বোলিং সেশনটা পর্যবেক্ষণ করেছেন বোলিং ওটিস গিবসন। সাদা বলের দুই ফরম্যাটে বাংলাদেশ দলের অপরিহার্য সদস্য এখন সাইফউদ্দিন। প্রথম বার টেস্ট দলের প্রাথমিক স্কোয়াডে ডাক পেয়ে যারপরনাই উচ্ছ্বসিত এই তরুণ অলরাউন্ডার। এবার লাল বলেও নিজের সেরাটা দেখাতে চান তিনি। করোনাকালে পুরো সময় ফেনীতে ছিলেন সাইফউদ্দিন। নিজের এলাকায় ফিটনেস, ব্যাটিং, বোলিংয়ের কাজ করেছেন তিনি। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট নন নিজেই। ছয়-সাত মাস পর মিরপুরে পুরোদমে অনুশীলন করে স্বস্তিতে এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। সাইফউদ্দিন বলছিলেন, ‘ছয়-সাত মাস পর দলের সঙ্গে মিরপুর গ্রাউন্ডে, খুবই আনন্দিত আমি। প্রথম বারের মতো সেন্টার উইকেটে বল করতে পেরে উচ্ছ্বসিত।’ টেস্ট দলে সুযোগ পাওয়ার রোমাঞ্চ ছুঁয়ে যাচ্ছে এই তরুণকে। বলেছেন, ‘যেহেতু আমি প্রথম বারের মতো টেস্ট স্কোয়াডে ডাক পেয়েছি। খুবই আনন্দিত আমি, চেষ্টা করব নিজের সেরাটা দেওয়ার এবং যতটুকু পারি শেখার। প্রত্যেকটা ক্রিকেটারেরই স্বপ্ন থাকে টেস্ট ক্রিকেট খেলা, আমিও ব্যতিক্রম নই। চেষ্টা থাকবে সুযোগ পেলে ভালো কিছু করা।’ সাদা পোশাকের ক্রিকেটে টিম ম্যানেজমেন্টের ভাবনায় বেশ ভালোভাবেই আছেন সাইফউদ্দিন। এই ফরম্যাটে তার মতো কার্যকর অলরাউন্ডারই খুঁজছেন নির্বাচক, কোচরা। লঙ্কা সফরে ২৩ বছর বয়সি এই ক্রিকেটারের টেস্ট অভিষেক হয়ে গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। করোনায় বড় বিরতি পড়েছে, অনুশীলনেও উদ্দ্যম ছিল না। নিজের স্কিল নিয়ে কিছুটা চিন্তিত সাইফউদ্দিন। গতকাল বলেছেন, ‘আমার এখন সবচেয়ে বড় লক্ষ্য নিজেকে ফিট করা, স্কিল উন্নতি করা। আমি কিছুটা চিন্তিত আমার স্কিল নিয়ে। প্রায় ছয়-সাত মাস আমি বোলিং, ব্যাটিং সেভাবে করতে পারিনি।’ তবে কয়েক দিন ধারাবাহিকভাবে অনুশীলন করে এই অস্বস্তি কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে আশাবাদী এই তরুণ অলরাউন্ডার।