৩ মিনিটের ঘুর্ণিঝড়ে অসংখ্য পরিবারের বসতঘর লন্ডভন্ড হয়েছে। নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার চাঁদখানা ইউনিয়নে ২৬ সেপ্টেম্বর হঠাৎ করে ভারী বর্ষনের সঙ্গে ওই ঘূর্ণিঝড় সৃষ্ঠি হয়। ঝড়ের প্রচন্ড গতি থাকায় অসংখ্য গাছপালা ভেঙ্গে পড়েছে ও জমির আমন ধান মাটিতে মিশে গেছে। তবে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজার রহমান। তিনি বলেন ইউনিয়নের ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডেও মুসা, ডাঙ্গাপাড়া, বটতলা, গ্রামগুলোর ক্ষতি হয়েছে বেশি। তার মধ্যে ৩৫ পরিবারের বসতঘর ভেঙ্গে গেছে। তবে ক্ষতির পরিমান আরো বাড়তে পারে বলে জানান তিনি। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে স্থানীয় স্কুলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কিশোরীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান জানান, তার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ছকির বাজার গ্রামের বেশ কিছু ঘরবাড়ি ভেঙ্গে পড়েছে। ঘটনার সময় প্রচন্ড কালো মেঘ ছিল আকাশে। হঠাৎ করে একটি ফানেলের মতো ঘূর্ণিঝড় কয়েক মুহূর্তে এলাকার সবকিছু ভেঙে চুরমার করে দিয়ে যায়। ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুজার রহমান জানান, আমি বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়েছিলাম। হঠাৎ আকাশ কালো হয়ে প্রবল বেগে ঝড় বইতে শুরু করল। দেখলাম বিশাল উঁচু মেঘ মাটি থেকে আকাশ ছুঁয়েছে।
এক নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য লুৎফর রহমান ভাকু জানান, নিমিষের মধ্যে ঘুর্ণিঝড় তছনছ করে দিল বেশ কিছু বসতঘর ও গাছপালা।
কিশোরীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মিঠু বলেন, জীবনে এমন ঝড় চোখে দেখিনি। হঠাৎ এলো, হঠাৎ চলে গেল। মাঝখানে বেশ কিছু বসতঘর ও গাছপালা ভেঙ্গে পড়লো। ফসলের জমির আমন ধান মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। নয়া মিয়া (৫৫) জানান ঝড়ে তার বাড়ির টিনের চালা উড়ে গেছে।