বরগুনার আমতলী উপজেলার চলাভাঙ্গা মৌজায় ৩ ফসলি কৃষি জমিতে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণের বিরোধিতা করছেন ওই এলাকার কৃষকরা। এ দাবিতে সোমবার সকালে বরগুনা প্রেসক্লাব সংবাদ সম্মেলন শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে কৃষক প্রতিনিধিরা। এর আগে একই দাবিতে শনিবার ওই এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশও করেছেন স্থানীয় কৃষকরা।
আমতলী সদর ইউনিয়ন কৃষকলীগ সভাপতি মনোয়ার হোসেন হাওলাদার লিখিত বক্তব্যে বলেন, বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণের যে জায়গা প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ৩ ফসলি অর্থ্যাৎ সেখানে আউশ, আমন এবং রবি শষ্য উৎপাদন হচ্ছে। যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায়ও রপ্তানি করা হয়। তাই ওই মৌজার জমি পাওয়ার গ্রীড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিঃ অধিগ্রহণ করে বিদ্যুৎ উৎপাদন উপকেন্দ্র নির্মাণ করলে, একদিকে পথে বসতে হবে এলাকার হাজার হাজার কৃষক পরিবারের। অন্যদিকে বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকারের ব্যাপক ক্ষতি হবে কৃষি খাতে। তাছাড়া আবাসিক এলাকায় বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র করা হলে দূষিত হবে পরিবেশ এবং প্রকৃতি।
তিনি আরও বলেন সংশ্লিষ্ট আমতলী সদর ইউনিয়নের অন্যত্র এবং অনাবাসিক ও অকৃষি ব্যাপক জমি রয়েছে। যেখানে এই বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রটি নির্মাণ হতে পারে। তাই চলাভাঙ্গা মৌজায় বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রটি করার অনুমতি না দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোড় দাবি জানান।
প্রসঙ্গত: পাওয়ার গ্রীড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লি: কর্তৃক বরগুনা জেলা প্রশাসকের কাছে গত ১১ মার্চ একটি পত্র প্রেরণ করেন (যার স্মারক নং ২৭.২১.০০০০.৪০৫.১৪.৪৪০.২০.১৮৭০(১)। যেখানে বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের চলাভাঙ্গা মৌজায় এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এর অর্থায়নে ৪০০ কেভি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে ৫০ একর জমি অধিগ্রহণের জন্য প্রস্তাব করেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো: মজনু মৃধা, কৃষক প্রতিনিধি ফারুক হোসেন হাওলাদার, সাইফুল ইসলাম বাদল, হুমায়ূন কবির হাওলাদার, আবুল হোসেন, শাহজাহান মৃধা, আবদুর রহমান প্রমূখ।