ফরিদগঞ্জে স্বামীর বিরুদ্ধে নিজের ঔরষজাত মেয়েকে ধর্ষনের অভিযোগ এনে মেয়েসহ থানায় হাজির হয়ে স্ত্রী মুক্তা বেগম বাদী হয়ে রোববার গভীর রাতে ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছে। মামলা দায়েরের পরপরই পুলিশ ধর্ষনের অভিযোগে মনির হোসেনকে আটক করেছে। রোববার গভীর রাতে উপজেলার সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের নিজ বাড়ী থেকে তাকে আটকের পর পুলিশ সোমবার চাঁদপুর আদালতে প্রেরন করেছে। অপরদিকে, ঘটনার শিকার মেয়েটিকে পুলিশ উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষা ও ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ২২ ধারায় জবান বন্দী সম্পন্ন করার জন্য চাঁদপুর প্রেরন করেছে।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৫ বছর পূর্বে উপজেলার সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের মৃত সেকান্দর আলীর ছেলে মনির হোসেনের সাথে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার মুক্তা বেগমে বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। তারা স্বপরিবারে ঢাকায় বসবাস করতো। মহামারি করোনার কারণে তারা বর্তমানে নিজেদের বাড়ীতে অবস্থান করছিল। গত ২২ সেপ্টেম্বর রাতে স্ত্রী মুক্তা বেগম বাড়ীতে না থাকার সুযোগে মনির হোসেন ৭ম শ্রেণিতে পড়-য়া তার ঔরষজাত মেয়েকে ধর্ষন করে। ২৭ সেপ্টেম্বর রোববার গভীর রাতে স্বামীর বিরুদ্ধে নিজের ঔরষজাত মেয়েকে ধর্ষনের অভিযোগ এনে স্ত্রী মুক্তা বেগম ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে। এরপরই পুলিশ ধর্ষনের অভিযোগে মনির হোসেনকে রোববার গভীর রাতে উপজেলার সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের নিজ বাড়ী থেকে আটক করে। পরে পুলিশ মনিরকে সোমবার সকালে চাঁদপুর আদালতে প্রেরন করে এবং ঘটনার শিকার মেয়েটিকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষা ও ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ২২ ধারায় জবান বন্দী সম্পন্ন করার জন্য চাঁদপুর প্রেরন করে।
অপরদিকে, আটককৃত মনির হোসেন এবং সেলিম হোসেন ও মরিয়ম বেগম নামের তার আত্মীয়রা জানায়, তার স্ত্রীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে হয়রানি করার চেষ্টা করছে। ইতিপূর্বেও তার স্ত্রী তার বিরুদ্ধে ধর্ষন ও নারী নির্যাতনের অভিযোগে দুইবার মামলা দিয়ে জেল খাটিয়েছে।
এই ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ আবদুর রকিব মেয়েকে ধর্ষনের অভিযোগে মামলা দায়ের ও পিতা মনির হোসেনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।