আশাশুনি মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিষয়টি নিয়ে পরস্পরবিরোধী কথাবার্তা এবং স্ববিরোধীতামূলক বার্তায় জনমনে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাইদুল ইসলাম বলেন, গত ৪/৬/২০ তাং কলেজের ১১০(ক) নং সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়, অধ্যক্ষ সাইদুল ইসলামের অবদানের কথা চিন্তা করে যদি কোন সুযোগ থাকে তার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করা হবে। তৎপ্রেক্ষিত ১১/৮/২০ তাং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর সভাপতি আলহাজ্ব মোখলেছুর রহমানের প্রতি স্বাক্ষরে আবেদন করা হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ১৬/৮/২০ তাং ০৭(খু-৭৮৪) জাঃ বিঃ/কঃপঃ/কোর্ড- ০২৫৭/৪৮৩২৭ নং স্বারকে সাইদুল ইসলামকে গণিতের শিক্ষক হিসাবে ১ বছরের জন্য মেয়াদ বৃদ্ধি করেন। এরপর গভর্নিং বডি ২৪/৮/২০ তাং ১১৪ নং সভায় জ্যৈষ্ঠতম শিক্ষক হিসাবে সর্বসম্মত ভাবে ২/৯/২১ পর্যন্ত তাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। অথচ ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন পত্রিকায় ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সেলিম দুর্রানীকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করার খবর প্রকাশিত হয়েছে। তিনি পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে সেলিম দুর্রানী সাংবাদিকদের বলেন, আমি ৩ মাস আগে থেকে প্রিন্সিপ্যাল স্যার আমাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব নিতে বলেন। কিন্তু আমি অপারগতা প্রকাশ করি। এমনকি ২০/৭/২০ তাং দায়িত্ব নিতে অপারগতা প্রকাশ করে স্বহস্তে লিখিত আবেদন করি। গভর্নিং বডির সভাপতি আমাকে ডাকলে আমি ৪/৯/২০ তাং তার সাথে স্বাক্ষাৎ করে দায়িত্ব নিতে অপারগতা প্রকাশ করি। লিখিত ভাবে দায়িত্ব নেবনা জানিয়েছি বলেও তাকে অবহিত করি। এরপর থেকে সভাপতির সাথে আমার কোন কথা হয়নি। পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারলাম আমাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করা হয়েছে। এটি কোন প্রক্রিয়ায় এবং কিভাবে করা হয়েছে, তা আমার বোধগম্য নয়। আমি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হয়নি, কোন দায়িত্বও গ্রহণ করিনি।
পত্রিকার খবর ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসাবে এ মাসের শুরু থেকে দায়িত্ব পালনকারী সাইদুল ইসলামের বক্তব্যের মর্ম উপলব্ধি করতে গেলে বিষয়টি নিয়ে সচেতন মহল হতচকিৎ হয়ে পড়ছেন।