মৃত্যু ঝুঁকি কমানোসহ অন্ধত্ব প্রতিরোধে শিশুদের ভিটামিন এ' ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রংপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. হিরম্ব কুমার রায়। তিনি বলেছেন, ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল ক্যাম্পেইন সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি। একসময় দেশে ভিটামিন 'এ' এর অভাবজনিত জটিলতায় শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি উদ্বেগজনক ছিল। অন্ধত্বের সংখ্যাও বেড়েছিল। কিন্তু ভিটামিন 'এ' ক্যাম্পেইন ও অভিভাবকদের সচেতনতার কারণে এখন শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি অনেকাংশে কমেছে।
বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) দুপুরে জেলা সিভিল সার্জন মিলনায়তনে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল ক্যাম্পইন বিষয়ক অবহিতকরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সিভিল সার্জন বলেন, আগামী ৪ থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত দেশজুড়ে পক্ষকাল ব্যাপি ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে। এতে রংপুর জেলার ১ হাজার ৮৪৪টি কেন্দ্রে ৬ মাস থেকে ১১ মাস বয়সী ৩৯ হাজার ৪০৬ জন শিশুকে নীল রংয়ের এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৩ লাখ ১৯ হাজার ৪৬৫ জন শিশুকে লাল রংয়ের ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়ানোর প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ক্যাপসুল খাওয়াতে ৩ হাজার ৬৮৮ জন স্বেচ্ছাসেবক, ৪৬৩ জন স্বাস্থ্যকর্মী ও ৪২০ জন পরিবার পরিকল্পনা কর্মী নিয়োজিত থাকবে।
ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল ক্যাম্পেইনের দ্বিতীয় রাউন্ডে ইপিআই'র দিন বাদ দিয়ে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নির্ধারিত টিকা কেন্দ্রে ও বড় হাট-বাজার, বাস স্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট এবং রেলওয়ে স্টেশনের অস্থায়ী/ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রে এই কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুলে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই উল্লেখ করে ডা. হিরম্ব কুমার রায় বলেন, ক্যাম্পেইনের দিন শিশুকে ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়ানোর সাথে সাথে মায়েদেরকে শিশুদের পুষ্টি সংক্রান্ত ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা হবে। ভরা পেটে শিশুকে ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে। খালি পেটে খেলে বমি ভাব হতে পারে। এতে বিচলিত না হয়ে অভিভাবকরা শিশুকে কাছের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যেতে পারে।
অবহিতকরণ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন - ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. কানিজ সাবিহা, জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক অরবিন্দু কুমার মদন, পুষ্টি সমন্বয়কারী লংকেশ্বর বর্মন।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর ছয় মাস পর পর দুইবার ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল ক্যাম্পেইন হয়ে থাকে। চলতি বছরের ১১ জানুয়ারী ক্যাম্পেইনের প্রথম রাউন্ড সম্পন্ন হয়। মার্চ থেকে শুরু হওয়া করোনা মহামারির পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে এবার দ্বিতীয় রাউন্ড বিলম্বে ৪ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে।