আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের উন্নয়নের কাণ্ডারী ও নৌকা প্রতীকের বিজয়ে লড়াকু সৈনিক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহ নেওয়াজ ডালিমের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রুখতে খাজরা ইউনিয়নের মানুষ ঐক্যবদ্ধ আবেদন জানিয়েছেন।
খাজরা ইউপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধ্ াদীনেশ মন্ডল, ইউপি সদস্য হোসেন আলি, মহিলা মেম্বার তহমিনা খাতুন, সাইফুল ইসলাম বাচ্চু, ইমাম মাওঃ শহিদুল ইসলাম, পুরোহিত দীপক কুমার চক্রবর্তী, খাজরা ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মহির উদ্দিন, সহকারী শিক্ষক মফিজুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু এতিমখানার শিক্ষক হাফেজ আজিজুল ইসলাম, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মিলন কান্তি মন্ডল, যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম কাজল, ছাত্রলীগ সাবেক সভাপতি সাব্বির হোসেন প্রমুখ জানান, খাজরা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের অবস্থা ছিল শোচনীয়। যুবক শাহনেওয়াজ ডালিম প্রানপণ লড়াই করে খাজরাকে আওয়ামী লীগের ঘাটিতে পরিণত করেছেন। তিনি নজির বিহীন ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর থেকে অসহায় মানুষের পাশে থেকে বিপদে আপদে নিজ অর্থ ব্যয় করে সংকটমুক্ত করিয়েছেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানসহ অন্যরা বলেন, আমরা কখনো দেখিনি তিনি কাউকে মারধর করেছেন। তিনি জনগণের বন্ধু ১০০%। ইউনিয়নের হিংসাত্মক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিরোধীতার খাতিরে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। সংঘর্ষের দিন তিনি এলাকায় ছিলেন না, তারপরও তাকে হত্যা মামলার আসামি করা হয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় তাকে আসামি করার পাশাপাশি যারা ঘটনাস্থানে ছিলেননা এমন বহু মানুষের নাম অন্তর্ভূক্ত করে ৫৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। তিনি কেবল খাজরা নয় বরং আশাশুনির প্রদীপ। এপ্রদীপ নিভে গেলে খাজরায় আ.লীগের হাল ধরার মত যোগ্য মানুষ পাওয়া মুশকিল হবে। এলাকাবাসীর পক্ষে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা দীনেশ মন্ডল আরও বলেন, চেয়ারম্যান ডালিম ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের তুখোড় নেতা হিসাবে উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেন। তার কর্মকান্ডের ফলশ্রুতিতে পরবর্তীতে তাকে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক করা হয়। এরপর আর থেমে থাকেননি, তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হন। বর্তমানে উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচন ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের বিজয় ছিনিয়ে আনতে আপ্রাণ চেষ্টা চালান এবং নিজস্ব অর্থ ও লোকবল কাজে লাগিয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করেন। এহেন পরীক্ষিত ও জননন্দিত নেতাকে কোণঠাসা করতে ষড়যন্ত্রকারী প্রতিপক্ষ একের পর এক ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা অভিযোগের ঝুলি নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তারা আ.লীগের বীর সেনানী ডালিমের মুক্তি ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।