নীলফামারী জেলা সদরের টুপামারী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়াইয়ের মাঠে আপন পিতা- পুত্র। এরা হলেন ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মছিরত আলী শাহ্ ফকির (স্বতন্ত্র) ও তার ছেলে মোহাম্মদ আলী (স্বতন্ত্র)। চেয়ারম্যান পদের অপর প্রতিদ্বন্দ্বি হলেন আবুল কাশেম শাহ (আ.লীগ) এবং সাইদুর রহমান (বিএনপি)।
৪ অক্টোবর মনোনয়ন পত্র জমাদানের শেষ দিনে ওই পিতা পুত্রসহ চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন ৪ জন। আগামী ২৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে এ ইউনিয়নে নির্বাচন।
সীমানা জটিলতার মামলায় দীর্ঘ ৯ বছর আটকে ছিল ওই ইউনিয়নের নির্বাচন। আদালতের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হলে গত ২৬ সেপ্টেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।
মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিনে প্রতিদ্বন্দ্বি ৪ চেয়ারম্যান প্রার্থী ছাড়াও ৯টি ওয়ার্ডে সদস্য পদে ৪২ জন এবং সংরক্ষিত ৩ আসনে নারী সদস্য পদে ১৭ জন নারী প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দেন।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আফতাব উজ্জামান বলেন, গত ২৬ সেপ্টেম্বর ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী চেয়ারম্যান এবং সদস্য পদে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিলো ৪ অক্টোবর রোববার। ৫ অক্টোবর যাচাই-বাছাই, ১২ অক্টোবর মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। ভোট অনুষ্ঠিত হবে ২৯ অক্টোবর। ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ২২ হাজার ৪শ জন।
তিনি বলেন, ২০১১ সালের ৫ জুন সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর মেয়াদ শেষে উচ্চ আদালতে সীমানা জটিলতার মামলায় নির্বাচন স্থগিত ছিল। ওই স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে রিট হলে দীর্ঘ শুনাণীর পর আদালতের আদেশে ওই তফশীল ঘোষিত হয়।
উল্লেখ্য, একইভাবে সীমানা জটিলতার মামলায় সদর উপজেলার খোকশাবাড়ি, কুন্দপুকুর ও ইটাখোলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন স্থগিত আছে। ওই ৩ ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১১ সালের ৫ জুন।