নড়াইলের মুলিয়া গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কল্যাণ বিশ^াসের কাছ থেকে জোরপূর্বক ১১ লাখ টাকার চেক আদায় করা হয়েছে মর্মে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (৪ অক্টোবর) দুপুরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণ নড়াইলের নজরুল ইসলাম বলেন, পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে আমার বিরুদ্ধে একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছেন। আমি স্কুল শিক্ষক কল্যাণ বিশ্বাসের কাছ থেকে জোর করে ১১ লাখ টাকার চেক লিখে নেইনি। আমার পাওনা ১১ লাখ টাকা না দিয়ে কল্যাণ বিশ্বাসের শ্যালক লিটন দত্ত এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় কল্যাণ বিশ্বাস এই টাকার জন্য আমাকে কিছুদিন অপেক্ষা করতে বলেন। একপর্যায়ে পাওনা টাকা ফেরত পেতে গত ১০ সেপ্টেম্বর রাতে কল্যাণ বিশ^াসের কাছ থেকে ১১ লাখ টাকার একটি চেক লিখে নেয়া হয়। তবে চেকটি মুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ অধিকারীর জিম্মায় আছে। আমাকে ১১ লাখ টাকা ঝুঝিয়ে দেয়া হলে এই চেক নিয়ে কোনো ঝামেলা হওয়ার কথা নয়। লিটন দত্ত ব্যবসায়িক কাজে আমার কাছ থেকে ১১ লাখ টাকা ধার নিয়েছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন নড়াইল পৌরসভার সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান খান কবির হোসেন ও দক্ষিণ নড়াইলের বাসিন্দা আবদুর রশিদ মন্নু।
এর আগে গত ২ অক্টোবর দুপুরে মুলিয়া এলাকায় অত্যাচার, নির্যাতন ও সন্ত্রাসীমূলক কর্মকান্ডের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মুলিয়া ইউনিয়নবাসীর আয়োজনে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ অধিকারী, সাবেক চেয়ারম্যান বিপুল সিকদার, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কল্যাণ বিশ^াস, দীপক বিশ্বাসসহ অনেকে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ১০ সেপ্টেম্বর রাতে দক্ষিণ নড়াইলের নজরুল ইসলাম ও সাধন বিশ^াসের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২জন দুর্বৃত্ত স্কুল শিক্ষক কল্যাণ বিশ^াসকে তার বাড়িতে জিম্মি করে ১১ লাখ টাকার একটি চেক লিখে নেয়। এ ঘটনায় নড়াইল সদর থানায় একটি এজাহার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মুলিয়াবাসী চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন।