নেত্রকোনার দুর্গাপুরের সোমেশ্বরী নদী ভাঙনে গত পাঁচ মাস ধরে আতঙ্কে দিন পার করছেন নদীর তীরবর্তী বাসিন্দারা। এদের মধ্যে উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের বরইকান্দি, ভূলিপাড়া, কামারখালীসহ প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকায় তীব্র ভাঙন। প্রতিদিনই নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদের বসতঘর রাস্তাঘাটসহ সবকিছুই।
তার উপর কয়েক দফা পাহাড়ি ঢলে ভাঙনে মাত্রা বেড়েছে কয়েক গুণ। অনেকেই নদীগর্ভে সবকিছু হারিয়ে এখন ঠাঁই নিয়েছে খোলা আকাশের নিচে। আবার ভাঙনরোধে স্থানীয়রাই বালুর বস্তা ফেলে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন নদী ভাঙ্গন রোধ করতে।
এবার এসব ভাঙন কবলিত মানুষদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগে উপ-কমিটির সদস্য রোটারিয়ান আতাউর রহমান খান আখির। মঙ্গলবার বিকেলে কুল্লাগড়া ইউনিয়নের নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেন তিনি।
পরিদর্শনকালে কথা বলেন নদীগর্ভে বিলীন হওয়া এলাকার মুসলিলম,হিন্দু, আদিবাসী সকলের সাথে। এ সময় ভাঙন কবলিতরা তার কাছে তুলে ধরেন ভাঙন দর্শন করুন কাহিনী। পরে স্থানীয়দের কাজের সাথে একাত্মতা জানিয়ে কামারখালী সোমেশ্বরী নদী ভাঙ্গন কমিটির হাতে নগদ অর্থ তুলে দেন তিনি।
এ সময় আতাউর রহমান খান আখির জানান, দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় মানুষের দুঃখ দূর্দশা পাশে থেকেছেন। দেশের সকল দুর্যোগে তিনি জনগণের মাঝে সহায়তার হাত বাড়িয়েছেন সব সময়। আমরা আশা রাখি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কামারখালী সহ প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকার নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত সকলের পাশে এসে দাঁড়াবে এবং ভাঙনরোধে নদীর দু'পাশে স্থায়ী বেরিবাধ ব্যবস্থা করবেন। তাছাড়া সোমেশ্বরী নদীতে নিয়মবহির্ভূতভাবে ব্যবসায়ীরা বালু উত্তোলন করে আসছে। যা পরিবেশ ও প্রকৃতির জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ। অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলেই নদীর দু'পাশে তীব্র ভাঙ্গন সৃষ্টি হচ্ছে। তাই অচিরেই অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে এই পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।