বরিশালের মুলাদীতে বিয়ের প্রলোভনে বানীমর্দন দাখিল মাদরাসার ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় অবশেষে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার প্রায় এক সপ্তাহ পরে গত ৬ অক্টোবর রাতে ধর্ষণের শিকার অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে ধর্ষক নাইম হাওলাদারকে আসামি করে মুলাদী থানায় মামলা দায়ের করেছেন। নাঈম উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বানীমর্দন গ্রামের মোকছেদ হাওলাদের ছেলে। ছাত্রীর পরিবার জানায় নাঈম হাওলাদারের পিতা বানীমর্দন গ্রামে একটি গরুর খামার গড়ে তোলে। খামার দেখাশোনার জন্য নাঈম খামারের থাকার সুযোগে পাশর্^বর্তী বাড়ির ৭ম শ্রেণিতে পড়-য়া মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। সম্পর্কের জেরে নাঈম বিয়ের প্রলোভন দিয়ে চলতি বছর জানুয়ারি মাস থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময় ওই ছাত্রীকে খামারে নিয়ে কয়েক দফা ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে সে বিষয়টি নাঈমকে জানায় এবং বিয়ের জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু নাঈম বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি গোপন রাখতে বলে। প্রায় ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীর শারিরীক অবস্থার পরিবর্তন হলে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। গত ১ অক্টোবর ওই ছাত্রীর পিতা ও স্থানীয় ইউপি সদস্য বিয়ের জন্য নাঈমের পিতা মোকছেদ হাওলাদারকে অনুরোধ জানালেও তিনি ধর্ষিতা ছাত্রীকে পুত্রবধু করতে অস্বীকার করে তাদেরকে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দেন। এ ছাড়া স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল বিষটি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা চালায়। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে নাঈম হাওলাদার এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় এবং মুলাদী থানা পুলিশের সহায়তায় ছাত্রীর পিতা মঙ্গলবার রাতে মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে নাঈম হাওলাদার মুঠো ফোনে ধর্ষণের কথা অস্বীকার করে জানান আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। মুলাদী থানার ওসি ফয়েজ উদ্দীন মৃধা জানান ছাত্রীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।