নারসিংদীর সিভিল সার্জন অফিসে কর্মরত দুই কর্মচারীর জেলা শহরে বিলাশ বহুল একাধিক সুরম্ম অট্টালিকা ও নামে বেনামে অঢেল সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। এ খবর শুনে হতবাক বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ। তারা টেন্ডার ও কেনাকাটায় অনিয়ম ও নানা খাতে দুর্নীতি করে অবৈধভাবে এ সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে জানা গেছে। এদের একজন প্রধান সহকারী রহিম মোল্লা ও অপর জন হিসাব রক্ষক মনছুর আহমেদ।
জেলা শহরের প্রাণ কেন্দ্রে দক্ষিন ভেলানগরে অবস্থিত ৫তলা বিশিষ্ট বিলাশ বহুল মাতৃছায়া ভবনটির মালিকানা রয়েছে সিভিল সার্জন অফিসের প্রধান সহকারী রহিম মোল্লার স্ত্রীর নামে। শহরে পশ্চিম ভেলানগরের মসজিদ রোডে মোল্লা ভবনের মালিকও এই রহিম মোল্লা। এ ছাড়া নামে বেনামে এই শেহরে তার অঢেল সম্পদ রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। রহিম মোল্লার বাড়ি নারায়নগঞ্জ জেলার আড়াই হাজারে। সেখানেও তার নামে বেনামে অনেক সহায় সম্পদ রয়েছে। স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে চাকুরী পাওয়ার পর তিনি অফিস সহকারী পদে কাজ শুরু করেন। এরপর সিএস অফিসের ক্যশিয়ার ও বর্তমানে অফিস প্রধান হিসাবে কর্মরত আছেন। এরইমধ্যে তিনি প্রায় ৫০ কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছেন বলে জানান স্থাণীয়রা।
এই ছোট চাকুরী করে এত টাকার মালিক বনে যাওয়ায় স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে নানা সন্দেহ দানা বেধেছে। তার সাথে যোগ সাজস রয়েছে হিসাব রক্ষক মনছুরেরও। শহরের অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনেই রয়েছে মনছুরের ৫ তলা বিশিষ্ট বিলাশ বহুল অট্টালিকা।
এলাকাবাসী জানায়, এদের নিয়েই সিভিল সার্জন অফিসে রয়েছে একটি শক্তিশালি সিন্ডিকেট চক্র। এই চক্রের হোতাদের বিচার চান এলাকাবাসী।
নরসিংদীর স্বাস্থ্য বিভাগ দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে উল্লেখ করে প্রবীণ সাংবাদিক নিবারন রায় বলেন, এ অবস্থা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।
সংবাদটি প্রকাশ না করার অনুরোধ করে বাসা বাড়ি ও সহায় সম্পদ থাকার কথা স্বীকার করে রহিম মোল্লা বলেন, আসলে এগুলো আগে কমদামে কেনা হয়েছে। এবং তার বাবা তাকে সহায়তা করেছেন।
প্রতিবেশীরা জানালেন,যেসব এলাকায় রহিম মোল্লা ও মনছুরের বাড়ি রয়েছে ধনী লোক না হলে এসব এলাকায় জমি কেনা যায়না।
ব্যবসায়ী নেতা সাইফুল ইসলাম জাহিদ বলেন, এই দুর্নীতীবাজদের বিরুদ্ধে অনতি বিলম্বে সরকারের ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
নবাগত সিভিল সার্জন ডা. মো: নুরুল ইসলাম বলেন, তিনি সবেমাত্র এ জেলায় যোগদান করেছেন, এবং এসেই সামাজাকি যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের সম্পদ আরোহনের খবরটি জেনে খুব বিভ্রতবোধ করছেন। তাদের অঢেল সম্পদের বিষয়ে তদন্ত করে খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।