শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ঘাইলারা গ্রামের সৈয়দ মন্ডলের ছেলে হারুন মন্ডল (৩৫) এর বিরোদ্ধে তার বাড়ীর গৃহকর্মী এক কন্যা শিশুকে যৌন নির্যাতনের ঘটনার অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ মঙ্গলবার রাতেই জিজ্ঞাবাদের জন্য হারুনের বড় ভাই সাবেক মেম্বার তাইজুল ইসলাম ও মেয়ে শিশুটির ফুফাতো ভাই জাহিদুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নালিতাবাড়ী থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাকরকান্দি ইউনিয়নের ঘাইলারা গ্রামের সৈয়দ মন্ডলের ছেলে হারুন মন্ডল গত শুক্রবার মেয়েটিকে শাররীক ভাবে যৌন নির্যাতন করার পর নালিতাবাড়ী সদর হাসপাতালে অজ্ঞাত পরিচয়ে ভর্তি করায়। ৩দিন হাসপাতালে থাকার পর বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। পরে এটি ফেসবুকসহ সর্বত্র জানাজানি হলে মঙ্গলবার মেয়েটির অবস্থার খোঁজ নিতে সাংবাদিক ও পুলিশ হাসপাতালে যায়। এ সময় মেয়েটিকে হাসপাতাল বেডে পাওয়া যায়নি। সেখান থেকে কে বা কাহারা তাকে নিয়ে যায়। পুলিশ দিন রাত খোজাখুজি করে হালুয়াঘাটের যুগলী ইউনিয়নের গনকুঠরা গ্রাম থেকে মেয়ের ফুফাতো ভাই জাহিদুলের বাড়ী থেকে বুধবার ভোর ৬ টায় উদ্ধার করে। বুধবার সকালে শেরপুর জেলার পুলিশ সুপার আশরাফুল আজিম ঘটনাস্থল ও নালিতাবাড়ী থানা পরিদর্শন করেন।
এলাকাবাসীর সূত্র জানায়, এই হারুন মন্ডল ১২ বছর পূর্বে বিএনপি করতো। সে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে ওতোপ্রতোভাবে জড়িত ছিল। পরে ২০১৮ সালে কাকরকান্দি ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি হয়। এখন সে শালমারা চৌরাস্তায় একটি ওষধ ফার্মেসীর দোকান চালায়। তার একটি ৩য় শ্রেনীতে পড়-য়া কন্যাসন্তান রয়েছে। একইসাথে ওই শালমারা স্কুলে তার মেয়ের সঙ্গে এই মেয়েটিও ৩য় শ্রেনীতে পড়াশুনা করতো। স্কুল শেষে একই সাথে তারা বাড়ী ফিরতো এবং বাড়ীর গৃহকর্মী হিসাবে কাজ করতো। কন্য শিশুটির পিতা মাতা মানসিক ভারসাম্যহীন।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বছির আহম্মেদ বাদল বলেন, পুলিশ ধর্ষন চেষ্টাকারী হারুন কে ধরার জন্য চেষ্টা চলছে।