সারাদেশে নারী-শিশু ধর্ষণ, নির্যাতন ও নিপীড়নের প্রতিবাদে রংপুরে মানববন্ধন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ধর্ষণে জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানানো হয়।
বুধবার (৭ অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়য়া শিক্ষার্থীরা এর আয়োজন করে।
এর আগে সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে জড়ে হতে থাকে। পরে দুপুর ১২টায় ব্যানার ও প্লাকার্ড হাতে সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হন তারা। এ সময় 'তুই ধর্ষক-দায় শুধু তোর, আমার বোন অন্ধকারে-তুই কেন বাহিরে, ধর্ষকের কোনো দল নেই- তুই ধর্ষক তুই ধর্ষক' স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে প্রতিবাদি শিক্ষার্থীরা।
দুই ঘণ্টার মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা বলেন, 'ধর্ষকের দায় কারো নয়, এই কথা শুধু মুখে না বলে বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রমাণ দিতে হবে। তা না হলে সারাদেশে নারী ও শিশু ধর্ষণ, নির্যাতন ও নিপীড়ন দিন দিন বাড়তেই থাকবে।'
এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ অবিলম্বে নোয়াখালী ও সিলেটসহ বিভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া সব ধর্ষণের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসহ জড়িত ধর্ষকদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি নিশ্চিত করতে আহ্বান জানান।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানজিনা সুমা, সামিউল ইসলাম, সাদমান, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শাহরিয়ার সিদ্দিকী, রংপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রী মোহনা, শুভশ্রী, লাভলী প্রমুখ।
এদিকে একই দিনে বেলা একটা থেকে প্রেসক্লাবের সামনে পৃথকভাবে মহানগর জাতীয় যুব সংহতি মানববন্ধন সমাবেশ করেছে। এতে বক্তব্য রাখেন-মহানগর যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক আলাল উদ্দিন কাদেরী শান্তি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান হাবীব আনসার, দপ্তর সম্পাদক শামীম হোসেন রাতুল, প্রচার সম্পাদক মুক্তি মাহমুদ প্রমুখ। এ সময় ধর্ষণের প্রতিবাদ ও ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি জানান তারা। পরে তারা নগরীতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
এছাড়াও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র ও বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীবৃন্দের ব্যানারে একই স্থানে ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। এতে জামায়াত-শিবিরের কর্মী সন্দেহে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীবৃন্দের তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়েছে।