বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তার কনিষ্ঠ পুত্র দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্পর্কে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী ও ঝালকাঠি-১ আসনের সাবেক এমপি ব্যারিষ্টার এম. শাহজাহান ওমর বীর উত্তমের দেয়া বক্তব্যে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে ঝালকাঠিসহ দক্ষিনাঞ্চলে এনিয়ে পক্ষে বিপক্ষে আলোচনা চলছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেলকে দেয়া স্বাক্ষাৎকারে ব্যারিষ্টার ওমর বলেন, ‘তারেক সাহেব থাকেন লন্ডনে। লন্ডনে বসে কথা বলা বা ভাব আদান-প্রদান করা তো ডিফিকাল্ট জব। মাঝে মাঝে তিনি স্কাইপে কথা বলেন। এতে করে পার্টিকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। তারেক সাহেব কতখানি চালাতে পারবেন, আপনারাও দেখেন, আমিও দেখি।’ দলীয় চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গে শাজাহান ওমরের বলেন শত ইচ্ছে থাকলেও বেগম জিয়ার রাজনীতিতে ফেরার সুযোগ খুবই কম।’ ঝালকাঠি বিএনপির নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিত ব্যারিষ্টার শাহজাহান ওমরের এই বক্তব্যের পরে সারা দেশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মাঝে এমন স্ব বিরোধী বক্তব্যে হতাশ হয়েছেন। ঝালকাঠি জেলাসহ দক্ষিনাঞ্চলে বিএনপির তৃনমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। গত দুইদিন শাহজাহান ওমরের এই বক্তব্যই ছিলো ঝালকাঠি জেলা বিএনপিতে টক অব দা টাউন।
এদিকে শাহজাহান ওমরের বক্তব্য প্রসঙ্গে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) মাহবুবুল হক নান্নুর কাছে জানতে চাইলে শুক্রবার এ প্রতিনিধিকে তিনি বলেন, শাহজাহান ওমরের বক্তব্যের আমি তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান আমাদের ঐক্যের প্রতীক। ওমর সাহেব হয়তো তার অর্থ সম্পদ রক্ষা করতে এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি কখনই মনে প্রানে বিএনপি করেননি। পরিস্থিতির কারণে বিএনপি করেছেন।
ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম নুপুর বলেন, শাহজাহান ওমরের বক্তব্যে ঝালকাঠি বিএনপিতে তেমন কোন প্রভাব পড়বেনা। আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারুন্যের অহংকার তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছি। তার বক্তব্যকে আমি দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মনে করছি।
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ঝালকাঠি-১ আসনের সাবেক এমপি ব্যারিষ্টার এম. শাহজাহান ওমর বলেন, ‘তোমরা একটা প্্রশ্ন কর, যা উত্তর দেই, আংশিক বক্তব্য ছাপা হয়। আমি কখনই বলিনি তারেক রহমানের নেতৃত্ব মানিনা। কিছু মিডিয়ায় আামর বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে। আর আমি যে কথা বলেছি সত্যই তো বলছি। বেগম খালেদা জিয়াকে যেভাবেই হোক তাকে জেল দিয়ে গৃহবন্ধী করে রাখা হয়েছে। সে স্বাভাবিকভাবে রাজানীতি করতে পারবেনা। আর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিদেশে রয়েছে। বিদেশে বসে দল চালানো সো ডিফিক্যাল্ড। আর স্থায়ী কমিটির চার/পাচটি পদ এখনও অপূর্ন রয়েছে। স্থায়ী কমিটির মধ্যে যারা বয়বৃদ্ধ ও অসুস্থ তাদের দিয়ে নীতি নির্ধারিক হবে? তাদেরকে উপদেষ্টা কমিটিতে নিয়ে পুরনো, দলে আনুগত্য আছে এবং যারা সুস্থ স্বাভাবিক আছে তাদের দিয়ে স্থায়ী কমিটি গঠন করে দলকে সামনের দিকে আগিয়ে নিতে হবে।