টঙ্গীর বড় দেওড়া রেজনআলী সুপার মার্কেটের মায়ের দোয়া গোস্ত বিতান থেকে মাংস ও রাস্তার ভ্যান থেকে শাকসবজি লুটে নিয়েছে আফজাল হোসেন নামে এক প্রতারক। র্যাবের সাবেক কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে মাংস ব্যবসায়ী পলাশ হোসেনের কাছ থেকে সাড়ে ৫১ কেজি মাংস এবং এক শাক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বেশ কয়েক কেজি শাকসবজি নিয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শুক্রবার সকালে। এঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
মাংস ব্যবসায়ী পলাশ হোসেন জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে তিনি তার দোকানে গরুর মাংস কেটে সাজাচ্ছিলেন। এসময় টিয়া রঙের একটি এ্যাপাচি (নং-নাটোর-ল-১১-৪৩০২) মোটরসাইকেলযোগে ওই প্রতারক আফজাল হোসেন দোকানের সামনে মোটরসাইকেল থামিয়ে তার পছন্দসই ৫০ কেজি গরুর মাংস এবং দেড় কেজি কলিজা বস্তায় ভরে নেন। এসময় পাশে ভ্যানে করে শাকসবজি বিক্রেতার কাছ থেকেও বেশ কয়েক ধরনের তাজা শাকসবজি অপর একটি বস্তায় ভরেন। পাশে থাকা অপর এক মাংস ক্রেতার আফজালের কথাবার্তা ও গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে তার পরিচয় জানতে চেয়ে মোটরসাইকেলের পেছনের প্লেট থেকে নম্বরটি টুকে নেন। ওইপ্রতারক তখন নিজেকে র্যাবের সাবেক কর্মকর্তা এবং তার নাম আফজাল হোসেন বলে পরিচয় দেয়। পরে মাংস ব্যবসায়ী পলাশ তার মাংসের টাকা চাইলে ওই প্রতারক নিজে নিজেই বলতে থাকে র্যাবে চাকরিকালীন সময়ে বহু লোককে গুলি করে হত্যার পর লাশ মোটরসাইকেলে করে একাই নিয়ে গেছি। এমনকি সে এসময় বিভিন্নধরনের ভীতিকর কথাবার্তা বলতে থাকে। একপর্যায়ে সে বাসায় গিয়ে মাংসের টাকা দিবে বলে দোকানের একজন লোককে তার সাথে দিতে বলে। দোকানে অন্য কোন লোক না থাকায় পাশের কাচাঁ তরকারির দোকানি বাবুল মিয়াকে সাথে নিয়ে চেরাগআলীর দিকে যায়। পরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মাঝে বাবুলকে কৌশলে নামিয়ে দিয়ে ওই প্রতারক দ্রুতগতিতে ঢাকার দিকে পালিয়ে যায়। এখবর শুনে পলাশ দ্রুত চেরাগআলী ও আশপাশে খোঁজ করে ওই প্রতারকের সন্ধান পায়নি। পলাশ আরও জানান, তার প্রায় ৩২ হাজার টাকার মাংস নিয়ে গেছে ওই প্রতারক। এঘটনায় তিনি আইনের আশ্রয় নিবেন বলেও জানান।
এব্যাপারে যোগাযোগ করা করা টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক বলেন, এঘটনায় কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।