অবশেষে ঘোড়াঘাট থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ আজিম উদ্দিনের বিচক্ষনাতায় স্ত্রীকে শ^াসরোধ করে হত্যা মামলার আসামি আঃ সালামকে ৪দিনের মধ্যে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করেছে। গ্রেফতারকৃত আসামি আঃ সালাম হত্যাকান্ডের বিস্তারিত বর্ননা দিয়ে সিআরপিসি ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি প্রদান করেন। ঘাতক সালামের বাড়ী নিলফারী জেলার কিশোরগঞ্জ থানার কালিকাপুর গ্রামে বলে জানা গেছে। সে ইতি পুর্বে আরো ২টি বিবাহ করেছিলো এবং নিহত পেয়ারা বেগম ৩য় স্ত্রী ছিলো। নিহত পেয়ারা বেগমের পুর্বের স্বামী মারা গেলে মোবাইলের মাধ্যমে ঘাতক সালামের সাথে পরিচয় সূত্রে বিবাহ হয়। বিবাহের পরে পিয়ারা বেগমের সাথে স্বামী সালামের পারিবারীক বিষয় নিয়ে মাঝে মধ্যেই ঝগড়া লেগে থাকত। পরে স্ত্রীর চাপে ঘাতক স্বামী ঢাকায় যাওয়ার কথা বলে মোটর সাইকেলে অনেক রাত পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করে অবশেষে হিলি-ঘোড়াঘাট সড়কের চোরগাছা নামক স্থানে স্ত্রীর গলায় গামছা পেচিয়ে শ^াস রোধ করে হত্যা করে জমির ভিতরে ফেলে রেখে যায়। ওসি আজিম উদ্দিন শুক্রবার দুপুরে তার অফিসে এক প্রেস ব্রিফিংএ গনমাধ্যম কর্মীদের জানান, গত ৪ সেপ্টেম্বর ঘোড়াঘাট-হাকিমপুর সড়কের চোরগাছা মৌজার সড়কের ধারে ঝোপের মধ্যে একটি অজ্ঞাত মহিলার (৩৫)লাশ পরে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন থানায় অবগত করালে আমি পুলিশ পাঠিয়ে অজ্ঞাত লাশটি উদ্ধার করি। পরে উপস্থিত লোকজনকে লাশটি দেখাইয়া পরিচয় সনাক্ত করার চেষ্টা করি। পরে মৃত দেহের পরিচয় সনাক্ত করার জন্য পুলিশ সুপার সি আই ডি পিবিআইবি দিনাজপুরের সাথে যোগাযোগ করি। তিনি আরো জানান, বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামীর পরিচয় সনাক্ত করে তাকে গত ৮ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করা হয়। সে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেছ্।েতার নিকট থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি মোটর সাইকেল ও ২টি মোবাইল সেট জব্দ করা হয়েছে।