টঙ্গীর চেরাগআলী ট্রাকস্ট্যান্ড এলাকায় শনিবার সকালে ৯ দফা দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ট্রাক ও কার্ভাডভ্যান মালিক-শ্রমিকরা। গাজীপুর জেলা ট্রাক ও কার্ভাডভ্যান মালিক-শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন গাজীপুর জেলা ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজাদ হোসেন, সহ-সভাপতি হাজী আবদুর রব মিয়া, আবদুল হান্নান, এরশাদ হোসেন, শফিকুল ইসলাম শফি, শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হাজী আবদুর রশিদ, দুদু মিয়া, আলী আকবর, তোতা মিয়া, সেলিম মিয়া প্রমুখ।
সমন্বয় পরিষদের নেতারা টঙ্গী ট্রাক-কাভার্ডভ্যান টার্মিনাল স্থায়ী করা, বিআইডব্লিউটিএ বিভিন্ন ফেরিঘাট ও টার্মিনাল ঘাট ইজারা দেয়া বন্ধ করে পূর্বের ন্যায় বিআইডব্লিউটিএ’র নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালনা করা এবং চাঁদাবাজি বন্ধ করা, সড়ক ও মহাসড়কে পুলিশী হয়রানি, মাস্তান, সন্ত্রাসী ও তৎসংশ্লিষ্টদের চাঁদাবাজি বন্ধ করা, যানবাহনের বর্ধিত আয়কর প্রত্যাহার করা, বিআরটিএ’র কাছে জমাকৃত ড্রাইভিং লাইসেন্স অবিলম্বে সরবরাহ করা এবং না দেয়া পর্যন্ত ড্রাইভারদের চলমান লাইসেন্স দিয়ে গাড়ি চালানোর সুযোগ দেয়া, সড়ক পরিবহণ আইন-২০১৮ সম্পর্কে যেসব সংশোধনী বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতি ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশনের পক্ষ থেকে ইতঃপূর্বে দেয়া হয়েছে, তা অবিলম্বে বাস্তবায়ন করাসহ ৯দফা দাবি তুলে ধরেন।
এসময় বক্তারা বলেন, পণ্য পরিবহণে মালিক-শ্রমিকদের অন্যতম প্রধান সমস্যা টার্মিনাল। ঢাকাসহ সারাদেশে ট্রাক টার্মিনালের সংখ্যা খুবই সামান্য। আর যেখানে পণ্য পরিবহণ টার্মিনাল আছে সেখানেও নানা রকম হয়রানি হচ্ছে। মাত্রাতিরিক্ত টোল আদায়, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, বিশ্রামাগার না থাকা ইত্যাদি সংকটে শ্রমিকরা জর্জরিত। এছাড়াও পথিমধ্যে প্রতিটা থানা এলাকায় পুলিশের অনিয়ম, হয়রানি, জুলুম ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড পণ্য পরিবহণ শ্রমিকদের বিষিয়ে তুলেছে। মামলা বা রেকার বিলের নামে মোটা অংকের টাকা আদায় করা একপ্রকার রুটিনে পরিণত হয়েছে। এসব কর্মকাণ্ড থেকে আমরা নিস্তার চাই। অন্যথায় দেশজুড়ে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।