বগুড়ার শেরপুরের গজারিয়া গ্রামে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সময় ইউএনও’র গাড়ি ভাংচুরের মামলায় ১০ অক্টোবর শনিবার অভিযান চালিয়ে আরো ৫ জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলো- মিলন মিয়া (২৮), রাজু(২৪), সাবেদ আলী (৫০), হায়দার আলী(৫৫), মোমা হোসেন (৫০)।
জানা যায়, উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার খবর পেয়ে গত ৩ অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী সেখ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত বসায়। এ সময় অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা তার উপর চরাও হয়ে গাড়ি ভাংচুর ও মারপিট করে। এ সময় তার ২ জন সহযোগী আহত হন। এ ঘটনায় ওই রাতেই শেরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার প্রেক্ষিতে ওইদিন ৮ জনকে আটক করা হয়। বাকি আসামীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রাখে পুলিশ। এরই জের ধরে গত ১০ অক্টোবর শনিবার অভিযান চালিয়ে খামারকান্দি ইউনিয়নের নলডেঙ্গি গ্রামের মৃত সাজাহান আলীর ছেলে মিলন মিয়া, আবুল হোসেনের ছেলে রাজু, আজহার আলীর ছেলে সাবেদ আলী, মৃত পারোম আলীর ছেলে হায়দার আলী ও খানপুর ইউনিয়নের বড়ইতলী গ্রামের মৃত আরেজ আলীর ছেলে মোমা হোসেনকে আটক করেছে শেরপুর থানা পুলিশ।
এ ব্যাপারে শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ইউএনও’র গাড়ি ভাংচুর মামলায় আটককৃতদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।