তানোরে আড়াই মাসেও গ্রেপ্তার হয়নি ধর্ষক মোহনপুর সরকারী কলেজের প্রভাষক মিজানুর রহমান মিজান। গত ২২ জুলাই ধর্ষনের স্বীকার ওই ছাত্রী বাদি হয়ে প্রভাষক মিজানুর রহমান মিজানের বিরুদ্ধে তানোর থানায় ধর্ষন মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার বিবরণ, পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, তানোর উপজেলার একটি গ্রামের জৈনক ব্যাক্তির কন্যা (উচ্চতর পর্যায়ের) ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্কের সুত্র বিয়ের প্রলোভন দিয়ে প্রায় ১ বছর ধরে ধর্ষন করে আসছিলেন মোহনপুর সরকারী কলেজের প্রভাষক মিজানুর রহমান মিজান।
২২জুলাই প্রভাষক মিজানুর রহমান মিজানের অন্যত্র বিয়ে করতে যাওয়ার খবর পেয়ে ওই ছাত্রী বিয়ের দাবি নিয়ে তার বাড়িতে গিয়ে অনশন শুরু করেন। ওইদিনই মোহনপুর থানা পুলিশ ছাত্রীকে সেখান থেকে উদ্ধার করে তানোর থানা পুলিশে সোপর্দ করেন। অপর দিকে প্রভাষক মিজানুর রহমান মিজান অন্যত্র বিয়ে করে বউ নিয়ে রাজশাহী শহরে ভাড়া করা বাড়িতে নতুন সংসার করছেন।
এঘটনায় ভিক্টিম বাদি হয়ে প্রভাষক মিজানুর রহমান মিজানকে আসামি করে তানোর থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন। কিন্তু মামলা দায়েরের প্রায় আড়াই মাস পেরিয়ে গেলেও পুলিশ ধর্ষক প্রভাষক মিজানুর রহমান মিজানকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। ধর্ষক গ্রেপ্তার না হওয়ায় ভিক্টিম ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতার পাশাপাশি চরম হতাশায় ভুগছেন।
এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ধর্ষক মিজানুর রহমান মিজানের এক ঘনিষ্ট বন্ধু নাম প্রকাশ না করার সর্তে বলেন, মিজানুর রহমান মিজান বিয়ে করে বউ নিয়ে রাজশাহী শহরে ভাড়া করা বাসায় সংসার করছেন। তিনি বলেন, মাঝে মাঝে তার সাথে কথা হয়। তবে, তিনি এর বেশী কিছু বলতে রাজি হননি।
এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল হাসান বলেন, ধর্ষককে গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন স্থানে হানা দিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, তাকে গ্রেপ্তারের জন্য মোহনপুর থানায় কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে। তাকে দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।