ফ্রান্সে দ্বিতীয় দফার করোনার ঢেউ সামলাতে কারফিউ সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে মোতায়েন থাকবে ১২ হাজার পুলিশ। ভঙ্গ করলে গুণতে হবে জরিমানা ও জেল। দেশটিতে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিরা বলেছেন, কারফিউ জারির কারণে নতুন করে আরও বেশি সঙ্কটে পড়তে হবে সাধারণ মানুষকে।
প্রবাসী বাংলাদেশিরা বলেন, 'নির্দিষ্ট একটা সময় পর্যন্ত কাজ করবে। সেক্ষেত্রে মালিকরা পারিশ্রমিক কত দিবে সেটা নিয়ে একটা সংশয় থেকে যাচ্ছে। কারফিউয়ের ফলে করোনা যে সংক্রমণ কমবে।'
ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী জন কাসটিএক্স বলেন, 'কারফিউ চলাকালীন রাত ৯ টা থেকে ভোর ছয়টা পর্যন্ত সবাইকে অবশ্যই ঘরের মধ্যে থাকতে হবে। খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হতে পারবেন না। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সবকিছুই বন্ধ থাকবে এই সময়।'
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গ্যারাল্ড ডারমেনিন বলেন, 'ইতিমধ্যে দুই হাজার পুলিশ ও দাঙ্গা পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্বে কাজ শুরু করেছে। আর কারফিউ চলাকালীন অবস্থায় সংশ্লিষ্ট শহরগুলোতে ১২ হাজার পুলিশ ও দাঙ্গা পুলিশ কাজ করবে।'
এদিকে দেশটির একটি গণমাধ্যমের জরিপে দেখা গেছে অধিকাংশ ফরাসিরা এই কারফিউ মেনে নিয়েছে। পাশাপাশি উড়োজাহাজে যেসকল যাত্রীরা রাত ৯ টার পর আসবেন তারা টিকেট বা অন্যান্য কাগজ প্রদর্শন করে চলাফেরা করতে পারবেন।
কারফিউ চলাকালীন অবস্থায় প্রথম দফায় কেউ তা ভঙ্গ করলে গুণতে হবে ১৩৫ ইউরো জরিমানা, দ্বিতীয় দফায় দেড় হাজার ইউরো এবং একাধিকবার আইন ভঙ্গ করলে ছয় মাসের জেল সেই সাথে তিন হাজার সাতশ পঞ্চাশ ইউরো জরিমানা গুণতে হবে। আর তাই সবাইকে আইন মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।