নড়াইল শহরের ভওয়াখালী এলাকার বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ার হিরক ভূঁইয়াসহ পরিবারের তিন সদস্য এবং তার এক বন্ধু গতকাল (শুক্রবার) বিকেলে যশোরে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার ঘটনায় তাদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
নিহত হিরকের ভাগ্নি মীম জানান, তার মামা নড়াইল থেকে নিজের প্রাইভেটকার চালিয়ে পরিবারসহ খুলনায় ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছিলেন। যশোরের নওয়াপাড়া রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তাদের প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। হিরক ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মেরিন ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন।
এ দুর্ঘটনায় হিরক ছাড়াও নিহত হয়েছেন-তার বোন শিল্পী বেগম ও সাত বছরের ভাতিজি রাইসা। এ ছাড়া হিরকের বন্ধু শহরের আশ্রম রোড এলাকার আশরাফুল আলমও নিহত হন। দুর্ঘটনায় হিরকের স্ত্রী ও এক বছরের শিশু সন্তান আহত হয়েছে। খুলনায় তাদের চিকিৎসা চলছে।
এদিকে, শনিবার (১৭ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে জানাজা শেষে আশরাফুলকে দক্ষিণ নড়াইল কবরস্থানে এবং বিকেলে হিরকসহ তার বোন ও ভাতিজিকে আলাদাতপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
অপরদিকে নড়াইল সদরের হবখালী ইউনিয়নের সুবুদ্ধিডাঙ্গা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ইজিবাইক চালক তপুর পরিবারে চলছে বুকফাটা আর্তনাদ। গতকাল (শুক্রবার) সন্ধ্যায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত তপু নড়াইল শহর সংলগ্ন সীমাখালি গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে। দু’টি ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।