জামালপুরে ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক জিয়াউল হক(৩২) হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি ও দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দিয়েছে জেলা ও দায়রা জজ আদালত। রবিবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের দায়রা জজ মোঃ জুলফিকার আলী খাঁন এই রায় দেন।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন ইসলামপুর উপজেলার করইতার খানবাড়ী গ্রামের নবাব আলী খান ওরফে নবা খান এর ছেলে মাহবুবুর রহমান ওরফে বুলবুল। যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মেলান্দহ উপজেলার মাঝবন্দ নাংলা গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে মনির ও একই উপজেলার গোবিন্দপুর নাংলা গ্রামের সুলতানের ছেলে বাবু।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নির্মল কান্তি ভদ্র জানান, গত ২০১১ সালের ৫ অক্টোবর সকালে ইসলামপুর উপজেলার ধর্মকুড়া শান্তিপাড়া গ্রামের সামিউল হকের ছেলে ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক জিয়াউল হক (৩২) কে পার্শবর্তী করইতার গ্রামের বুলবুল জামালপুরের নান্দিনায় শশুরবাড়িতে যাওয়ার জন্য মোটরসাইকেল ভাড়া নেয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরদিন ৬ অক্টোবর দুপুরে মেলান্দহ উপজেলার চারাইলদার পাথালিয়া গ্রামের মতিবর হাজির ধানক্ষেত থেকে জিয়াউল হকের হাত-পা বাঁধা অবস্থায় লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে ওইদিনই নিহতের স্ত্রী মোছাঃ বিউটি বেগম মেলান্দহ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালত ১৮ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ১৪ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষে মাহবুবুর রহমান বুলবুলকে পেনেল কোর্ট ১৮৬০ এর ৩০২ ধারায় মৃত্যুদন্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড ও দন্ডবিধির ৩৭৯ ধারার অপরাধে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং মনির ও বাবুকে পেনেল কোর্ট, ১৮৬০ এর ৩০২/৩৪ ধারার অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড ও দন্ড বিধির ৩৭৯ ধারার অপরাধে ২ (দুই) বছরের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন এবং উভয় সাজা একত্রে চলার আদেশ দেন। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি মাহবুবুর রহমান ওরফে বুলবুল পলাতক রয়েছে।
মামলায় আসামীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মোঃ বজলুল হক ও পলাতক আসামীদের স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী অ্যাডভোকেট এস.এম.জামাল আবদুন নাসের ওরফে বাবুল।