নীলফামারীর সৈয়দপুরে ক্রিকেটের উন্নয়নে কারো কোন পরিকল্পনা নেই। উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাহায্য ছাড়াই, ক্লাবগুলো নিজস্ব অর্থায়ন ও ক্রিকেটারদের সহযোগিতায় চালিয়ে যাচ্ছে ক্রিকেট কার্যক্রম। জাতীয় পর্যায়ে খেলা ক্রিকেটাররা, প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন তরুণদের। তাদের মতে ক্রিকেটের উন্নয়নে এ অঞ্চলে প্রয়োজন উন্নত মাঠ, পিচ ও কোচদের প্রশিক্ষণ। উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতির আশ্বাস, ক্রিকেটের উন্নয়নে সব ধরনের সহযোগিতার। সাকিব-মাশরাফী-মুশফিকদের জনপ্রিয়তা দেশের প্রতিটি প্রান্তে। সেই জনপ্রিয়তার রেশ আছে নীলফামারীর সৈয়দপুরেও। তাই তো ক্রিকেটের জন্য পর্যাপ্ত অবকাঠামো না থাকলেও খেলাটি নিয়ে আগ্রহ আছে ব্যাপক। নীলফামারী-সৈয়দপুরে ফুটবলের জন্য আছে আলাদা স্টেডিয়াম। হয়েছে আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচও। তবে ক্রিকেট যেন বড়ই অবহেলিত। ফুটবল মাঠের ঘাস কেটে কোনমতে চলছে খেলা। অনুশীলনের জন্য নেই নির্দিষ্ট পিচ। অবকাঠামোর এমন বেহাল দশা হলেও, সৈয়দপুরে নেই প্রতিভার অভাব।
স্থানীয় কোচদেরও নেই উচ্চতর প্রশিক্ষণের সুযোগ। তাই বিভিন্ন সময়ে জাতীয় পর্যায়ে খেলা ক্রিকেটাররা, তরুণদের দিচ্ছেন প্রশিক্ষণ। এ সকল প্রতিভাবানদের নিয়ে তারা দেখছেন ভালো কিছুর স্বপ্ন। নবীন ও জাতীয় পর্যায়ে খেলা ক্রিকেটাররা বলেন, 'প্রায় আমরা ৫ থেকে ৬ টা একাডেমী এখানে অনুশীলন করি। জায়গা কম হওয়ায় আমাদের অনুশীলন করতে কষ্ট হয়। আমাদের এখানে ভালো কোন মাঠ নেই। যে মাঠ আছে সেটা আবার ঘাসে ভরা, তখন সেই ঘাস নিজেদের অর্থায়নে আমরা পরিষ্কার কওে থাকি। উইকেট যেটা করি সেটাও আমাদের পকেটের টাকা দিয়ে করতে হয়। জেলা পর্যায়ের কোন রকম সুযোগ সুবিধা আমরা পাই না।' স্থানীয় ক্রিকেট নিয়ে পরিকল্পনা আছে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের। আশ্বাস দিলেন সব ধরনের সহযোগিতার।
সৈয়দপুর ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি মো. নাসিম আহমেদ বলেন, 'ক্রিকেটের উন্নয়নে জাতীয় পর্যায়ে খেলে তারা যেন দেশের জন্য একটা অবদান রাখতে পারে সে সুযোগ সৃষ্টির জন্য আমরা পৃষ্ঠপোষকতা করবো সরকারের পক্ষ থেকে।' সৈয়দপুরে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ৩৫টি ক্লাব ও একাডেমী রয়েছে। যার মধ্যে নিয়মিত জেলা লিগে অংশ নেয় প্রায় ১৫টি ক্লাব।