সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে উপজেলা আ.লীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল উপলক্ষে কাউন্সিলর তালিকা তৈরীতে বিধি লংঘন, স্বেচ্ছাচারিতা, স্বজন- প্রিতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, ৬টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত রায়গঞ্জ উপজেলা সাংগঠনিক এলাকা। সাংগঠনিক এলাকার বিভিন্ন ইউনিট সরেজমিন ঘুরে ও লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, প্রায় ৮ বছর আগে উপজেলা আ.লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতি হিসেবে আবদুল হাদি আল মাজি জিন্নাহ ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে খোন্দকার শরিফুল আলম শরিফ নির্বাচিত হন। তারা নির্বাচিত হওয়ার পর নানা অনিয়ম-দুর্নীতি, স্বজনপ্রিতি ও স্বেচ্ছাচারিতায় জড়িয়ে পড়েন। এতে সংগঠন যেমন দুর্বল হয়ে পড়ে সেই সাথে দলের শৃংখলারও ভীষন অবনতি ঘটে। ফলশ্রুতিতে বর্ষিয়ান ও ত্যাগী নেতা কর্মিরা অসহায় হয়ে পড়ে। সংগঠনকে শক্তিশালি করার লক্ষ্যে আগামী ২৯ অক্টোবর উপজেলা আ.লীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। আর এ কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে ৭টি ইউনিটের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের যোগ-সাজশে ত্যাগি আ.লীগের পরীক্ষিত নেতা কর্মিদের বাদ দিয়ে পরিবারতন্ত্র, জামাত-বিএনপি সমর্থিত লোকদের কাউন্সিলর তালিকায় অন্তর্ভুক্তির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রায়গঞ্জ পৌরসভা, ব্রহ্মগাছা, পাঙ্গাসী ও ধানঘরা ইউনিয়নে কাউন্সিলর তৈরীতে অনিয়ম ও বিধি ভংগের অভিযোগ সবচেয়ে বেশী। রায়গঞ্জ পৌরসভা ৯টি মহল্লা নিয়ে গঠিত। মোট ৩১ জন কাউন্সিলরের মধ্যে বিএনপি-জামাত অধ্যুষিত পূর্ব লক্ষিকোলা ও ধানঘরা মহল্লারই ২১ জনকে কাউন্সিলর তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এদের অধিকাংশই পৌর আ.লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বজন বলে জানা যায়। একই চিত্র ধানঘরা, ব্রহ্মগাছা ও পাঙ্গাসী সহ প্রায় সকল ইউনিটে। এ ব্যাপারে রায়গঞ্জ পৌর আ.লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ হাসানুজ্জামান সুলতান বলেন আমি ১৯৮৬ সনে ছাত্রাবস্থায় সদস্য ফরম পূরণের মাধ্যমে আ.লীগে প্রবেশ করে পরবর্তিতে ছাত্রলীগ, যুবলীগের ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছি। ২০১৩ সনে উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে অংশগ্রহণ করি। বিএনপি-জামাতের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে ও তাদের রোষানলে পড়ে কারাবরণ ও বসতবাড়ী ভাংচুর করার পরও আমি এই কাউন্সিলে নেতা নির্বাচন করতে পারছিনা। কাউন্সিলরের তালিকায় যাদের নাম তালিকাভুক্ত হয়েছে দলের দূর্দিনের সময় তাদের ভয়ে পালিয়ে রাজনীতি করতে হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হান্নান খান বলেন আমি কাউন্সিলের নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। এমতাবস্থায় আমি কোন মন্তব্য করতে পারছিনা। নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব এ্যাড, লুৎফর রহমান লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয় স্বীকার করে বলেন সকল অভিযোগ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে আজ বৃহষ্পতিবার জেলা আ.লীগের নির্বাচন প্রস্তুতী সভায় উপস্থাপন করা হবে।