যুব উন্নয়ন থেকে মৎস্য চাষ ও গবাদি পশুপালন প্রশিক্ষন নিয়ে অল্প পুঁজি খাটিয়ে সফল যুব উদ্যোক্তা হওয়ার গৌরব অর্জণ করেছে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চল বহুতী পূর্বপাড়া গ্রামের মিজানুর রহমান।
সরেজমিনে যুব উদ্যোক্তা মিজানুর রহমান সঙ্গে কথা হলো। তার সফলতার বিষয়ে জানান, উপজেলা যুব উন্নয়ন থেকে কৃষি বিষয়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষন দেওয়া হবে, সেই খবর পেয়ে তিনি ২০১৩ সালে স্থানিয় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে মৎস্য চাষ ও গবাদি পশু পালনের উপর প্রশিক্ষন গ্রহন করে মিজানুর। মাস্টার্স কমপ্লিট করে যখন অনেকেই চাকরীর পেছনে দৌড় ঝাঁপ করে সেখানে এস এস সি পাশ করেই যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষন নিয়ে সফল উদ্যোক্তা হয়েছে মিজানুর রহমান। যুব উন্নয়নের প্রশিক্ষন গ্রহনের পর মাত্র ৬০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেন তিনি। প্রথমে ১.১৮ একরের নিজস্ব একটি পুকুরের পাশাপাশি ৪৪ ও ৭০ শতাংশ আয়তনের আরও দুটি সরকারি পুকুর লিজ নিয়ে শুরু করে মৎস্য চাষ। তিনি মৎস্য চাষে ব্যাপক সফলতা পাওয়ায় পরবর্তিতে গাভী পালন, ২টি সেডে মুরগি পালন, জমিতে কলা চাষ করছেন। তার গবাদি পশু ও মুরগী পালন এনে দিয়েছে ব্যাপক সফলতা। এখন পুঁজির পরিমান প্রায় ২৬ লাখ টাকা। তার সফলতা দেখে ওই গ্রামের সাকিব ফকির গরুর খামার, রনি ইসলাম গরু, মৎস্য চাষ সহ করলা ও লাউ চাষ করছে। মিজানুরের সফলতায় যুব মহিলাদের মধ্যে ববি আকতার, সাথী আকতার মৎস্য চাষ ও গাভী পালন করছেন। তিনি গড়ে তুলেছেন জয়পুর বহুতী যুব উন্নয়ন সমিতি। সেই সমিতির অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে ছোট ছোট হাঁস-মুরগীর খামার গড়ে তোলা ও পতিত জমিতে লাউ, করলা চাষ করে তারাও এখন স্বাবলম্বি হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। জয়পুর বহুতী যুব উন্নয়ন সমিতি সদস্যরা আয় বর্ধনমূলক কার্যক্রম ছাড়াও এলাকায় বাল্য বিবাহ, মাদক দ্রব্য প্রতিরোধেও কাজ করছে। সেই সঙ্গে নারীর ক্ষমতায়নে একধাপ এগিয়ে যাচ্ছে জয়পুর বহুতী গ্রামের যুব মহিলারা। এখন জয়পুর বহুতী গ্রামকে একটি আদর্শ গ্রাম হিসাবে প্রতিষ্ঠার জন্য তারা কাজ করছেন।
জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ তোছাদ্দেক হোসেন জানান, মিজানুর রহমান যুব উন্নয়নের কৃষি বিভাগ থেকে প্রশিক্ষন নিয়ে ব্যাপক সফল আত্মকর্মী হয়েছে। এলাকার যুবদের সংগঠিত করে মাদক ও বাল্য বিবাহ রোধ কল্পেও কাজ করছে মিজানুর।