রাজশাহীর পবা উপজেলা সীমান্ত থেকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক চার জেলেকে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনের শিকার এসব জেলেদের বুধবার (২১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে লাঠির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে বিএসএফ-বিজিবি পতাকা বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
নির্যাতনের শিকার জেলেরা হলেন- পবা উপজেলার কসবা গ্রামের জুল্লুর ছেলে সোনারুল, গহমাবোনা গ্রামের মৃত জকিমুদ্দিনের ছেলে মো. আলম, আলমের ছেলে আনোয়ার ও সাইদুর রহমানের ছেলে সিফাত।
জেলেদের ঊদৃতি দিয়ে পবা উপজেলার হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বজলে রেজবী আল হাসান মুঞ্জিল জানান, মাছ ধরার সময় বুধবার ভোরে পদ্মা নদী থেকে বিএসএফ সদস্যরা মোট ৩টি নৌকাসহ ওই চার জেলেকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর সীমান্ত এলাকায় মাছ ধরার কারণে ব্যাপক নির্যাতন চালিয়ে বুধবার সন্ধ্যার পর তাদের ছেড়ে দেয়। তবে ছেড়ে দিলেও তাদের ভাল দু’টি নৌকা ফেরৎ দেয়া হয়নি। এরপর তারা বাড়ি ফিরে এলে রাতেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে লাঠির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এ ঘটনায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রাজশাহী-১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফেরদৌস জিয়াউদ্দিন মাহমুদ বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) বিএসএফের সঙ্গে এ বিষয়ে পতাকা বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানেই প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। আমরা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ভবিষ্যতে যেন আর এমন না ঘটে সে বিষয়ে বলবো। আর জেলেদের নৌকা দুটি ফেরৎ আনার চেষ্টা করবো।