রাজশাহীতে খন্দকার হাসান কবির নামে এক ব্যবসায়ীর কাছে প্রাচীনকালে লেখা ক্ষুদ্র আকারের একটি কোরআন শরিফের সন্ধান পাওয়া গেছে। কোরআনটির দৈর্ঘ্য ৩ সেন্টিমিটার, প্রস্থ ২ সেন্টিমিটার ও উচ্চতা ২ সেন্টিমিটার। গ্রন্থটিতে কোরআন শরিফের পূর্ণাঙ্গ ৩০ পারা-ই রয়েছে। তবে ছাপার অক্ষর খালি চোখে পড়া কঠিন। তাই আতশি কাচের নিচে রেখে পড়তে হয়। আর কোরআন শরিফের এই কপিকে দেশের মধ্যে সংরক্ষণকৃত অন্যতম বলে দাবি করা হচ্ছে। বংশ পরম্পরায় তার কাছে এটি সংরক্ষিত রয়েছে বলে জানিয়েছেন খন্দকার হাসান কবির।
তার দাবি, এটিই দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও ক্ষুদ্রতম কোরআন শরিফ। তার বাবা মরহুম খন্দকার মফিজুর রহমান ১৯৯২ সালে তাকে দিয়েছেন। তখন থেকেই তার সংরক্ষণে রয়েছে। তবে দীর্ঘদিন এটা কোথায় ছিল জানতেন না। সম্প্রতি বাসার আলমারিতে জরুরি কাগজপত্র খুঁজতে গিয়ে এই ক্ষুদ্র কোরআন শরিফটি পেয়ে যান। এমন ছোট আকারের কোরআন শরিফ তিনি এর আগে কখনো দেখেননি বলেও জানান।
খন্দকার হাসান কবির জানান, কোরআন শরিফটি তার বাবা কোথায় থেকে সংরক্ষণ করেছিলেন সে সম্পর্কে জানা হয়েছিলনা। যে কারণেই এ বিষয়ে তার কাছে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। কোরআন শরিফটি সর্বপ্রথম তার বাবার কাছেই দেখেছেন। বাবা মারা যাওয়ার ২৫ বছর হয়েছে। তিনি ৭৪ বছর বেঁচে ছিলেন। তাই ধারণা করছেন এটা অনেক পুরনো। আগে অনেকে গলায় মাদুলির মতো এমন কোরআন ব্যবহার করতেন। এখন আর এমন কোরআন শরিফ দেখা যায় না।
এ বিষয়ে রাজশাহী বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরের সাবেক পরিচালক মো. জাকারিয়া বলেন, কোরআন শরিফটি বহু পুরনো। তবে এই কোরআন শরিফ-ই দেশের সবচেয়ে ক্ষুদ্র কী না এটা এ মূহুর্তে বলা সম্ভব নয়। বিষয়টি নিয়ে গবেষণা ও অনুসন্ধানের প্রয়োজন আছে, নয়তো ভুলও হতে পারে। ফলে এখনই নিশ্চিত করে বলার সুযোগ নাই।