পটুয়াখালীর আগুনমুখা নদীতে স্পিডবোট ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ৫ জনেরই লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পর শনিবার ভোর সাড়ে ৬টায় আগুনমুখা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে লাশগুলো উদ্ধার করে কোস্টগার্ড ও স্থানীয়রা।
নিহতরা হলেন- রাঙ্গাবালী থানার পুলিশ কনস্টেবল মো. মহিবুলতাহ হক (৫৭), বাহেরচর শাখা কৃষি ব্যাংকের পরিদর্শক মো. মোস্তাফিজুর রহমান (৩৫), আশার খালগোড়া শাখার লোন কর্মকর্তা কবির হোসেন (৩১), এলজিইডির রাস্তার কাজে আসা শ্রমিক মো. হাসান মিয়া (৩০) ও মো. ইমরান(৩২)। এদের মধ্যে নিহত মহিবুলতাহ বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার জিরাইন গ্রামের মৃত রহমানের হকের ছেলে, মোস্তাফিজুর রহমান পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিয়াপুর গ্রামের আবদুল সালাম হাওলাদারের ছেলে, কবির হোসেন বাউফল উপজেলার আজিজ সিকদারের ছেলে, হাসান মিয়া পটুয়াখালী সদরের ছোট আউলিয়াপুর গ্রামের আবদুর রহিম হাওলাদারের ছেলে ও মো. ইমরান বাউফল উপজেলার জয়গোড়া গ্রামের মৃত আলম হাওলাদারের ছেলে।
নিহতদের লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান জানান, শনিবার সকালে ঘটনাস্থলের আশপাশ থেকে নিখোঁজ পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ডসহ স্থানীয়রা।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে ১৭ জন যাত্রী নিয়ে রুমেন-১ নামের স্পিডবোটটি রাঙ্গাবালী উপজেলার কোড়ালিয়া লঞ্চঘাট থেকে গলাচিপার পানপট্টির উদ্দেশে ছেড়ে যায়। পথে আগুনমুখা নদীতে স্পিডবোটটি ডুবে যায়। এ সময় ১৭ জন যাত্রীর মধ্যে ১২ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও পাঁচজন নিখোঁজ থাকে।