স্ত্রী নাজমা খাতুনের পরোকিয়া প্রেমের জেরে মেহেরপুর সমাজসেবা কর্মচারী ফারুক আহমেদকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ মো: দ্বারা। পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে হত্যাকারী বড় ফারুক। বড় ফারুক মেহেরপুর থানা পাড়ার আবদুল লতিফের ছেলে।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ মো: দ্বারা জানান, মেহেরপুর সমাজসেবা কর্মচারী ফারুক আহমেদকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়। কয়েকটি বিষয় নিয়ে তদন্ত করা হয় তদন্তের এক পর্যায় পরোকিয়ার বিষয়টি সামনে আসে। পরে যাচাই বাছাই শেষে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা থেকে বড় ফারুককে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর সোমবার আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারা মোতাবেক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
তিনি আরো জানান, সমাজসেবা কর্মচারী ফারুক আহমেদের স্ত্রী নাজমা খাতুনের সাথে বড় ফারুক হোসেনের সাথে পরোকিয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। পরবর্তীতে কর্মসংস্থানের জন্য প্রবাসে চলে যায় বড় ফারুক। প্রবাসে থাকাকালিন সময়ে নাজমা খাতুনের সাথে অর্থনৈতিক লেনদেন সহ মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হতো। পরে দেশে ফিরে আসবে বড় ফারুক। কিছৃুদিন পর স্ত্রীর পরোকিয়া প্রেমের বিষয়টি ধারনা করতে পারে সমাজ সেবা কর্মী ফারুক হোসেন। পরোকিয়া প্রেমে বাঁধা দেওয়ার ঘটনা থেকেই হত্যাকান্ডোর ঘটনা ঘটেছে। তবে এ হত্যারকান্ডের সাথে জড়িত অন্যান্যের খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য : গত ২২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১১ টার দিকে সদর থানার সন্নিকটে তাঁতীপাড়ায় সমাজ সেবা কর্মী ফারুক হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকান্ডের ঘটনায় স্ত্রী নাজমা খাতুন বাদী হয়ে মেহেরপুর সদর থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা দায়ের করে।