গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীর বিভিন্ন চর, খাল-বিল ও নদীতে আইনের তোয়াক্কা না করে অবাধে পাখি শিকার করা হচ্ছে। শিকার করা পাখিগুলো হাট-বাজারে এনে প্রকাশ্যে বিক্রিও করছেন পেশাদার শিকারীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় গোয়ালন্দের পদ্মা নদীর বিভিন্ন চর জেগে উঠেছে। চরগুলো নানা ধরণের অসংখ্য পাখির কলকাকলীতে মুখরিত হয়ে উঠেছে। এ ছাড়া উপজেলার অভন্তরীণ নদণ্ডনদী ও খাল-বিলেও দেখা মিলছে নানা প্রজাতির পাখি। আসন্ন শীতে এদের সাথে যুক্ত হবে অসংখ্য অতিথি পাখি।
এদিকে এ পাখিগুলোকে শিকার করতে এখনই তৎপর হয়ে উঠেছে সৌখিন পাখি শিকারীসহ এক শ্রেণির পেশাদার শিকারী। পাখি শিকার করা বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ আইনে দন্ডনীয় অপরাধ হলেও তারা আইনের তোয়াক্কা না করে পাখি শিকার করে চলেছে। পেশাদার শিকারীরা তাদের শিকার করা পাখিগুলোকে আবার বাজারে এনে প্রকাশ্যে বিক্রি করছেন। তবে পেশাদার শিকারীরা বেশির ভাগই পাবনা ও সিরাজগঞ্জ এলাকার বলে জানা গেছে।
গোয়ালন্দ বাজারে শিকার করা পাখি বিক্রি করতে আসা পাবনার কাশিনাথপুর উপজেলার মোখছেদ প্রামানিক জানান, এ সময় নদী ও চর এলাকায় প্রচুর পাখির দেখা পাওয়া যায়। তারা বেশ কয়েকজন মিলে পদ্মা নদীর চর এলাকায় অবস্থান করে পাখি শিকার ও বিক্রি করছেন। বর্তমানে দেশীয় জাতের চ্যাগা, বক ও শালিক জাতীয় পাখি বেশী পাওয়া যাচ্ছে। শীত শুরু হলে বিদেশী জাতীয় পাখি পাওয়া যাবে। পাখি শিকার করা দন্ডনীয় অপরাধ জানেন কিনা জিজ্ঞেস করলে বলেন, “সেটা জানি না, তবে এলাকায় কাজকর্ম নেই তাই পেটের দায়ে পাখি শিকার করি”।
এ বিষয়ে রাজবাড়ী জেলা বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ সিরাজুল হক জানান, প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে পাখির গুরুত্ব অপরিসীম। বন্যপ্রাণি সংরক্ষন আইনে পাখি শিকার করার অপরাধে ৬ মাস থেকে ২ বছর পর্যন্ত কারাদন্ডের বিধান রয়েছে। পাখি শিকার বন্ধে শিঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে।