বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলা সভাপতি ও মোবারকগঞ্জ চিনিকলের সিআইসি কমরেড আমির হামজা বাবলুর অবস্থার অনেকটা উন্নতি হয়েছে। সোয়া দুই মাস হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে থেকে ডাক্তারদের পরামর্শে হাসপাতাল ছেড়ে এখন তিনি শেরেবাংলা নগর জাতীয় নিউরোসাইন্স হাসপাতালের সন্নিকটে ভাড়া বাসায় অবস্থান করছেন। এ হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স ও কম্পাউন্ডাররা তার নিয়মিত দেখাশুনা করছেন। সেখানে তার নিয়মিত ফিজিওথেরপী চলছে। তিনি এখন বসতে ও খাবারও খেতে পারছেন। জড়তার সাথে আস্তে আস্তে কথাও বলতে পারছেন। তবে স্ট্রোক জনিত কারণে তার শিরা- উপশিরা গুলো ঠিকমতো কাজ করছে না। এক সাইড প্যারালিসিস মতো হয়ে গেছে। ডাক্তাররা বলেছেন এ বাসায় এভাবে তার ২০ দিন মতো চিকিৎসা চলবে। অবস্হার ভালো উন্নতি না হলে তার মাথায় অস্ত্রপচার লাগতে পারে।
গত ২২ আগস্ট কমরেড বাবলুর নাক দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। পরদিন তাকে ঢাকা বারডেম হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তার ব্রেন স্ট্রোক ধরা পড়ে। বারডেমে আইসিইউ বেড খালি না থাকায় ডাক্তাররা তাকে গ্রীন রোডের ধানমন্ডি হাসপাতালে প্রেরন করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ২৪ আগস্ট তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। দিন দশেকের চিকিৎসায় কোন উন্নতি না হওয়ায় ডাক্তাররা তাকে নিউরোসাইন্স হাসপাতালে রেফার্ড করেন। তাকে নিউরোসাইন্স হাসপাতালেও লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। সেখানে তার অবস্থার কখনো উন্নতি কখনো অবনতি হতে থাকে। এভাবে শেষদিকে তার উন্নতি হয়। এবং গত ২৩ অক্টোবর তার লাইফ সাপোর্ট এবং ২৫ অক্টোবর অক্সিজেন খুলে দেয়া হয়। লাইফ সাপোর্টে থাকাকালীন তিনি পুরো অজ্ঞান ছিলেন। ২৭ অক্টোবর তাকে ভাড়া বাসায় নেয়া হয়।
এদিকে কমরেড বাবলুর দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড মোস্তফা আলমগীর রতন, কালীগঞ্জ উপজেলা সাধারন সম্পাদক রেজাউল ইসলাম, উপজেলা নেতা ডা: আ: কুদ্দুস, গোলাম মোস্তফা, জয়দেব কুমার দাশ, বাহার আলী, প্রভাষক বিপ্লব বিসনু, হুমায়ুন কবির মন্টু, পৌর নেতা সুমন দত্ত প্রমুখ। নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতিতে আশা করেন কমরেড বাবলু অচিরেই সুস্হ হয়ে ফিরে আসবেন এবং সাধারন মানুষের জন্য সংগ্রামে পূর্বের মতই ভূমিকা রাখবেন।