দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের রেজাউল ইসলামকে (২০) অপহরণ অপহরণের পর মোটরসাইকেল হাতিয়ে নিয়ে শ্বাসরোধ করে আগুনে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে করা মামলায় নিহতের ৩ বন্ধুকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া তাদের ৩ জনকে পৃথকভাবে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ড, অপর জনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১ বছরের সশ্রম কারাদ- এবং অপর আসামিকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৩ মাসের সশ্রম কারাদ- প্রদান করা হয়। গত ২৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁও অতিরিক্ত দায়রা জজ বিএম তারিকুল কবীর এ রায় প্রদান করেন।
মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত সুইট আলম নওগাঁ জেলার বারিল্লা উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত আকবর আলী সর্দারের ছেলে, মেকদাদ বিন মাহতাব ওরফে পলাশ চিরিরবন্দর উপজেলার দক্ষিণ পলাশবাড়ি গ্রামের মাহতাবউদ্দিন শাহ্র ছেলে, হাসান জামিল ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর সরকারপাড়া গ্রামের বজিরউদ্দিনের ছেলে। এদের মধ্যে হাসান জামিল পলাতক রয়েছে।
মামলা সুত্রে জানা যায়, দন্ডপ্রাপ্ত সুইট আলম, মেকদাদ বিন মাহতাব ওরফে পলাশ ২০১৫ সালের ৪ মার্চ দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার আন্ধারমুহা গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে রেজাউল ইসলামকে ঘুঘুরাতলীবাজার হতে তাদের বন্ধু অপহরণ করে ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের আরেক বন্ধু হাসান জামিলের বাসায় নিয়ে আসে। পরদিন তারা রেজাউলের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি কেড়ে নেয় ও তাকে সরকারপাড়া গ্রামের সলেমানের বাঁশঝাড়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং লাশ পুড়িয়ে বিকৃত করে ওই বাঁশঝাড়েই ফেলে রাখে।
৬ মার্চ স্থানীয় লোকজন বালিয়াডাঙ্গী ধানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহের চেহারা বোঝা না যাওয়ায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। অপরদিকে, রেজাউলের পরিবারের লোকজন দিনাজপুর র্যাব-১৩ এ বিষয়টি অবগত করে। র্যাব-১৩’র সদস্যরা মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে রেজাউলের খুনের বিষয়টি উদ্ঘাটন করেন। বন্ধুকে রেজাউল ইসলামকে (২০) অপহরণ ও শ্বাসরোধ করে আগুনে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে করা মামলায় নিহতের ৩ বন্ধুকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। নিহত রেজাউলের পরিবারের সদস্যরা আদালতের এ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।