গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের কাটাবাড়ী ইউপি’র চেয়ারম্যানকে অপহরনের পরিকল্পনা কালে প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক যুবকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারাত্নক জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে,গত ২৭ অক্টোবর রাত ৮টায় উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়নের বোগদহ সদর কলোনীর বিদেশ প্রবাসী আনোয়ার হোসেনের পুত্র রকি (২০) কে একই গ্রামের ভিক্ষু মিয়ার পুত্র মাসুদ মিয়া,আবু তালেব(২৫)ও ভোলা মিয়া (৩০)সহ ৫/৬জনের একটি দল পূর্বের পরিকল্পনা অনুযায়ী রকিকে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে কাঠগড়া মাদ্রাসার মাঠে যায়। সেখানে উপস্থিত যুবকরা রকিকে জানায় আগামী ইউপি নির্বাচনের আগে চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রফিককে অপহরণ করে মুক্তিপন আদায় করা হবে। তাদের এই পরিকল্পনার প্রস্তাব প্রবাসির পুত্র রকি রাজি না হলে কৌশলে তারা তাকে মাসুদের বাড়ীতে নিয়ে যায় এবং সবাই একই ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। এদিকে গভীর রাতে রকির হাত-পাঁ ও মুখ বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মারাত্নক জখম করে। একপর্যায়ে সজ্ঞাহীন হয়ে পরলে তারা রনিকে মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে বাড়ীর পার্শ্বে স্কুলের নিকট ফেলে রেখে তার মোটর সাইকেলটি নিয়ে যায়। রাত আনুমানিক ৩টার দিকে জ্ঞান ফিরে পেলেই চিৎকার দেয়। চিৎকার শুনে প্রতিবেশিরা রনিকে উদ্ধার করে প্রথমে গোবিন্দগঞ্জ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে রকি’র মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে প্রায় শ’খানেক ক্ষত সেলাই করেছে বলে বাদী মোফাজ্জল শেখ জানিয়েছেন।তবে এ বিষয়ে এলাকার একাধিক ব্যক্তি নানা ধরনের কথা বলছেন।
এব্যাপারে শনিবার সকাল চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রফিকের সাথে কথা হলে তিনি জানান ,আমাকে নিয়ে যে গুনঞ্জন উঠেছে তা আমার বিশ্বাস হচ্ছে না।তবে ঘটনার রহস্য উদঘটন হলেই প্রকৃত বিষয় জানা যাবে।এব্যাপারে গত ৩০ অক্টোবর গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে।