গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বিডিআর এ চাকুরী দেওয়ার কথা বলে ২ লক্ষ ৫ হাজার টাকা নিয়ে প্রতারনা। দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর থানায় মামলা হলেও পুলিশ অজ্ঞাত কারণে আসামীকে গ্রেফতার না করায় বুক ফুলিয়ে অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকার সুধী মহলের মাঝে অজানা ক্ষোভ বিরাজ করছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর থানার মামলা সূত্রে জানা গেছে, (মামলা নং-১৫ তারিখঃ ২৪ ডিসেম্বর ২০০৭ইং) গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মোঃ সাইদুল ইসলাম পিতা ইয়াজ্জল মন্ডল ও মাহাতাব উদ্দিন@ মনির, মুরাদ গ্রামঃ সোনাতল সাখাইল, ডাকঃ সরদারহাট, ইউপিঃ শিবপুর, গোবিন্দগঞ্জ, গাইবান্ধা পিতা মোয়াজ্জেম মাষ্টার গ্রাম রাখালবুরুজ মিয়াপাড়া গোবিন্দগঞ্জ, গাইবান্ধা। মাহাতাব উদ্দিন বিডিআর সদর দপ্তরের ঢাকা পিলখানায় কর্মরত ঊর্ধ্বতন অফিসারের রানার হিসেবে চাকুরী করতেন। বর্তমানে বিভিন্ন কারণে চাকুরী হতে বরখাস্ত।
মাহাতাব উদ্দিন ও সাইফুল ইসলাম দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে নাজমুল হোসেন মুক্তারকে বাংলাদেশ রাইফেলস এ চাকুরী দেবে বলে ৩,০০,০০০/- লক্ষ টাকার মধ্যে ২৫০,০০০/- হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় এবং বাকী ৫০,০০০/- হাজার টাকা বাদীর বাড়ীতে নিতে গেলে সন্দেহ বসতঃ সাইদুল ইসলামকে আটক করে পার্বতীপুর থানায় তিনজনকে আসামি করে একটি প্রতারনা মামলা দায়ের করা হয়।
এখানে উল্লেখ্য যে, আসামি মাহাব উদ্দিন(মনি/মুরাদ) বর্তমানে ঢাকার আজিমপুওে ইরাকি মাঠের পশ্চিম পার্শ্বে নিরাময় আলিশান বাড়ীর ৪০ নং ফ্লাট এর ৮ম তলায় থেকে নিজস্ব প্রাইভেট কার নিয়ে সে প্রতারনাসহ অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তার তিন নামে পৃথক তিনটি ভোটার কার্ড ব্যবহার করেন বলে জানা গেছে। পলাতক মাহাতাব উদ্দিন ও মোঃ সাইদুল ইসলাম দীর্ঘ ১৪ বছরেও থানা পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার না হওয়ায় অভিনব কায়দায় প্রতারনা করে চলেছেন।