নাটোরের লালপুরে পাবলিক লাইব্রেরীর উদ্যোগে প্রাকীর্তি ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় লালপুরে বিধবা মা মেয়ের জন্য ঘর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, নাটোরের লালপুরের উত্তর লালপুর মন্ডল পাড়া গ্রামে বয়সের ভাওে প্রায় ৩ বছর ধরে শয্যসয়ী মমতাময়ী বিধবা মা আমেনা বেওয়াকে নিয়ে জরাজীর্ণ ছোট্টো একটি কুড়ে ঘরে বসবাস করেন মুনজু। তিনি নিজেও বিধবা। মনজুর একটি বিধবা ভাতার কার্ড থাকলেও বিছানায় পড়ে থাকা বিধবা মা আমেনার কোন কার্ড নেই। মা-মেয়ের সংসার চলে প্লাস্টিকের বোতল কুড়িয়ে তা বিক্রি করে। মেয়ে মনজু সারা দিন বোতল কুড়িয়ে বিক্রি করে সংসার চালান।
মা নিজে উঠে দাঁড়াতে পারে না। সমস্ত কাজ মেয়েকেই সম্পন্ন করে দিতে হয়। বিষয়টি এলাকাবাসী জানলেও কোন কাজে আসেনি। বিষয়টি নজরে আসে লালপুর পাবলিক লাইব্রেরীর সদস্যদের।
লালপুর পাবলিক লাইব্রেরীর উদ্যোগে প্রাকীর্তি ফাউন্ডেশনের সার্বিক সহযোগিতায় বিধবা মা মেয়েকে ঘর নির্মাণ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। রোববার ১ নভেম্বর লালপুর পাবলিক লাইব্রেরীর উদ্যোগে প্রাকীর্তি ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় বিধবা মা মেয়ের জন্য ঘর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রাকীর্তি ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও লালপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক পলাশ, পাবলিক লাইব্রেরীর সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ, ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক হাসিবুল ইসলাম, পরিচালক প্রভাষক আমজাদ হোসেন, সুলতানুজ্জামান টিপু, লালপুর শ্রী সুন্দরী পাইলট হাইস্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক খাজা শামীম মো: ইলিয়াস হোসেন, সদস্য গোলাম কিবরিয়া, পাবলিক লাইব্রেরীর সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আরিফ প্রমূখ।
এ ছাড়াও ফাউন্ডেশন ও পাবলিক লাইব্রেরীর কর্মকর্তা ও সাংবাদিকসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গ উপস্থিত ছিলেন।
প্রাকীর্তি ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও লালপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক পলাশ জানান, লালপুরে পাবলিক লাইব্রেরীর উদ্যোগে প্রাকীর্তি ফাউন্ডেশনের সার্বিক সহযোগিতায় বিধবা মা মেয়ের জন্য ঘর নির্মান করে দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগীতা দেয়া হবে।