একবার বিপক্ষে সংবাদ প্রচারের জন্য মার্কিন প্রভাবশালী গণমাধ্যম সিএনএনকে ‘মিথ্যুক’ আখ্যা দিয়ে আক্রমণ করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। আক্রমণ করতে ছাড়েননি নিউ ইয়র্ক টাইমসকেও।
ট্রাম্প বলেছিলেন, নিউ ইয়র্ক টাইমসেরও সিএনএনের মতো অবস্থা। গণমাধ্যমগুলোর সামনে অহংকার করে বলেছিলেন, এরা বেশি দিন ব্যবসা করতে পারবে না। মজার ব্যাপার হলো ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের পর নিউ ইয়র্ক টাইমসের গ্রাহকের সংখ্যা ছিল আকাশচুম্বী।
২০১৬ সালে মার্কিন নির্বাচনের প্রচারণা থেকে শুরু করে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর মূলধারার গণমাধ্যকে তুলোধুনো করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যা এখনো অব্যাহত। তার প্রশাসনের সঙ্গে গণমাধ্যমের যে সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, তা বহু বছরেও অন্য কোনো মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে দেখা যায়নি। ট্রাম্পের ক্ষেপাটে আচরণের জন্য পশ্চিমা মিডিয়ার সাংবাদিকরা অনেকটা তটস্থ থাকেন।
হোয়াইট হাউজে সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প প্রশাসন এবং মূলধারার গণমাধ্যমের মাঝে একটি যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে বার বার। নানা সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তার প্রশাসনের হেনস্থার শিকার হতে হয় সাংবাদিকদের। শুধু সংবাদ সম্মেলনে নয়, নির্বাচনী সমাবেশেও মূলধারার বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যমের সঙ্গে দাম্ভিকতা নিয়ে বেশ সমালোচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প। একসময় হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভেবেছিলে তিনি। যা রীতিমত সমালোচনার জন্ম দেয়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তার এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে নিন্দাও জানায়।