মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় ক্রান্তীয় ঝড় ‘এতা’-র প্রভাবে প্রবল বৃষ্টির পর কয়েকটি ভূমিধসের ঘটনায় অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এক শহরেই প্রায় অর্ধেক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে; এখানে পাহাড়ের একটি অংশে ধসের পর প্রায় ২০টি বাড়ি ঘন কাদার নিচে চাপা পড়ে বলে দেশটির প্রেসিডেন্ট আলেহান্দ্রো জামাতেই জানিয়েছেন।
একটি হারিকেন হিসেবে ‘এতা’ মঙ্গলবার প্রতিবেশী নিকারাগুয়া হয়ে সাগর থেকে স্থলে উঠে আসে, পরে দুর্বল হয়ে ক্রান্তীয় ঝড়ে পরিণত হয়।
গুয়াতেমালায় ভূমিধসের ঘটনাগুলোর পর বৃহস্পতিবার তাৎক্ষণিক এক সংবাদ সম্মেলনে জামাতেই জানান, ১২ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে কয়েক মাসের সমপরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে।
ভারি বৃষ্টি চলতে থাকায় উদ্ধারকারীরা সান ক্রিস্তোবাল ভেরাপাজ শহরসহ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর একটিতে পৌঁছতে পারছেন না। অর্ধেক মৃত্যুর ঘটনাই এই শহরটিতে ঘটেছে।
“এখন আমরা পায়ে হেঁটে সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করছি, কারণ আর কোনো পথ নেই,” বলেছেন জামাতেই।
চার মাত্রার হারিকেন হিসেবে ঘণ্টায় একটানা ২২৫ কিলোমিটার বাতাসের গতি নিয়ে ‘এতা’ নিকারাগুয়ায় আঘাত হেনেছিল। এটি নিকারাগুয়া থেকে প্রতিবেশী হন্ডুরাসে গিয়ে দুর্বল হয়ে ক্রান্তীয় নিম্নচাপে পরিণত হয় এবং পরে আরও সরে গুয়াতেমালায় গিয়ে হাজির হয়।
পুরো মধ্য আমেরিকাজুড়ে এতার তাণ্ডবে ৭০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
হারিকেন আঘাত হানার আগেই প্রায় লাখখানেক লোককে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিয়েছিল নিকারাগুয়া। এরপরও দেশটির উত্তর উপকূলে ভূমিধসে দুই জনের মৃত্যু হয়। তারা খনিতে কাজ করার সময় সেখানে ভূমিধসের ঘটনাটি ঘটে।
হন্ডুরাসের সান পেদ্রো সুলা শহরে বিছানায় ঘুমিয়ে থাকা ১৩ বছরের এক কিশোরীর ওপর ঘরের দেয়াল ধসে পড়ার পর তার মৃত্যু হয়।