কুমিল্লার হোমনায় বাজি ধরে মোবাইলে লুডু খেলাকে কেন্দ্র করে অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। অ্যাসিড নিক্ষেপের অভিযোগে সবুজ (২৫) নামে এক স্বর্ণকারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসিডে ঝলসে যাওয়া মো. তামিমকে (১৮) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। নানার বাড়ি লটিয়ায় বসবাস করা মো. তামিম উপজেলার ওপারচর গ্রামের সাধন মিয়ার ছেলে এবং অ্যাসিড নিক্ষেপকারী স্বর্ণকার সবুজ নিলখী গ্রামের রেহমত আলীর ছেলে। রোববার উপজেলার লটিয়া গ্রামের বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মো. তামিম এবং স্বর্ণকার সবুজ মিয়া প্রতি গেইম পাঁচশ টাকা করে বাজি ধরে মোবাইলে লুডু খেলছিল। যে হারবে সে প্রতিপক্ষকে ওই টাকা দিতে বাধ্য থাকবে। সবুজের কাছে পরপর দুই গেইম হেরে মো. তামিম এক হাজার টাকা ঋণি হয়ে যায়। তামিম বাজির টাকা পরিশোধ না করলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে তামিম সবুজকে আঘাত করে দৌড়ে পালাতে চাইলে সবুজও তার স্বর্ণের দোকান থেকে অ্যাসিড নিয়ে পেছন থেকে নিক্ষেপ করে। এতে তামিমের ঘাড়, গলা ও গালের একাংশ কিছুটা ঝলসে যায়। স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক তামিমের ক্ষত স্থানে প্রচুর পরিমানে পানি ঢেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। এই ঘটনায় খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত সবুজকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক সহকারী সার্জন ডা. নিবিড় লুৎফুন নাহার জানান, এসিডে মাথার পেছনের অংশ, ঘাড় এবং বাম কানে ফুসকা ফড়ে গেছে। হাসপাতালে ভর্তি আছে। চিকিৎসা চলছে।
হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) আবুল কায়েস আকন্দ বলেন, বাজি ধরে লুডু খেলাকে কেন্দ্র করে তামিমের ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপ করা হয়েছে। এ ঘঁনায় থানায় মামলা হয়েছে। অ্যাসিড নিক্ষেপের অভিযোগে স্বর্ণকার সবুজকে গ্রেফতার করা হয়েছে।