ভোলার দৌলতখানে জমি দখল করে জোরপূর্বক বসতঘর নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দৌলতখান থানার উপপরিদর্শক মাহামুদুল হাসান শুক্রবার ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘর নির্মাণ স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন। উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের দিদারউল্লাহ্ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, মোঃ আলমগীর খান গংদের ২.১৯ একর ওয়ারিশ সম্পত্তি মোঃ শাহাজান খান গংদের জবর দখলে রয়েছে। এ ঘটনায় ২৭ অক্টোবর মোঃ আলমগীর খানের ফুফাতো ভাই মোঃ শাহী এমরান বাদী হয়ে দৌলতখান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে ও মোঃ শাহী এমরান জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিপক্ষ শাহাজান খান গংদের সাথে আমাদের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। এনিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার ফয়সালাও হয়েছে। ফয়সালায় জমি আমরা পাওনা হই। তবে মোঃ শাহাজান খান গংরা পাওনা জমি আমাদের বুঝিয়ে না দিয়ে বিরোধীয় সম্পত্তিতে জবর দখল করে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বসতঘর নির্মাণ স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন। জানা গেছে, শাহাজাহান খান গং ও আলমগীর গং উভয় আত্মীয় স্বজন।
অভিযোগ সূত্রে আরও জানা যায়, বিরোধীয় তফসিল সম্পত্তির বিবরণে রয়েছে, দিদারউল্লাহ্ মৌজার জেএল নং- ৩০, তৌজি নং- ৩১, পিএস খতিয়ান নং- ৬০১, আরএস খতিয়ান নং- ৪৮৫, এসএ খতিয়ান নং- ৪৩৫। এসএ দাগ নং-১৯৫২, ১৯৫৩, ১৯৫৪ সহকারে আরও ১৯ টি দাগ রয়েছে। যার মধ্যে ২.১৯ একর ওয়ারিশ সম্পত্তি নিয়ে মোঃ শাহাজান খান গংদের সাথে ও মোঃ আলমগীর খান গংদের বিরোধ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য মনির জানান, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের বিষয়ে মোঃ শাহী এমরান আমাকে জানিয়েছে।
এদিকে প্রতিপক্ষ শাহাজান খানের ভাতিজা এয়ার মোহাম্মদ খান জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমরা এসব সম্পত্তি ভোগ দখল করে আসছি। তবে আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগটি আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবী করেন তিনি।
দৌলতখান থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলার রহমান জানান, জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে মোঃ শাহী এমরান বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।