বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৪৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন উপলক্ষে গত কয়েক দিন ধরে কমিটিহীন সরাইলে চলছিল ব্যাপক প্রস্তুতি। আগামী কমিটিতে পদ পদবী প্রত্যাশীরা ছিল চাঙ্গা। বড় র্যালি ও শোডাউন করার লক্ষেই কাজ করছিল স্থানীয় নেতা কর্মীরা। দিবসটি যথাযথ ভাবে পালনে ছিল নানান সাজ সজ্জ্বার প্রস্তুতি। গতকাল সকালের চিত্র ছিল ভিন্ন। ঐক্যবদ্ধ নয়। পৃথক র্যালি ও শোডাউন। পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্র জানায়, সকাল ৮টা থেকেই প্রত্যেক পদ প্রার্থীর পক্ষে খন্ড খন্ড মিছিল সহকারে সরাইল সদরের বিভিন্ন পয়েন্টে জড়ো হতে থাকে সমর্থকরা। একসময় পিকআপ ভ্যানে করেও বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে যুবলীগের সমর্থকদের আসতে দেখা যায়। মূহুর্তের মধ্যে সবকিছু ধুলিস্যাৎ করে দিয়েছে পায়েল হোসেন মৃধার অনুসারীদের সংঘর্ষ। রণক্ষেত্রে পরিণত হয় সরাইলের প্রধান সড়ক। এ সংঘর্ষে ৩ পুলিশ সদস্যসহ আহত হয়েছে উভয় পক্ষের ২০ জন। পুলিশ ও উপজেলা যুবলীগের একাধিক নেতা জানান, বুধবার ছিল আওয়ামী যুবলীগের ৪৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সম্পাদক পদপ্রার্থী ৬টি দলের পক্ষ থেকে ছয়টি শোভাযাত্রা বের হয়। এসব শোভাযাত্রার নেতৃত্বে ছিলেন আল এমরান, জাকির হোসেন, বেলায়েত হোসেন, হাফিজুল আসাদ, মফিজুর রহমান ও পায়েল হোসেন মৃধা। সকাল ১০ টা থেকে উপজেলা সদরে তাদের নেতৃত্বে খন্ড খন্ড শোভাযাত্রা বের হয়। এসব শোভাযাত্রায় কয়েক হাজার নেতাকর্মীর সমাগম ঘটে। একাধিক শোভাযাত্রার মাঝখানে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিক উদ্দিন ঠাকুর ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মাহফুজ আলীকেও দেখা গেছে। উপজেলা সদরে শোভাযাত্রা বের করার জন্য বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী পায়েল হোসেন মৃধার নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী উপজেলা সদরের গরূরবাজার এলাকায় জড়ো হচ্ছিলেন। এ সময় তার অনুসারী মাহাবুব ও রূবেল মিয়ার মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পায়ে পারা পড়া নিয়ে এ ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে মাহাবুবকে বেদম মারধর করে রুবেল মিয়া ও তার লোকজন। মাহাবুবের বাড়ি উপজেলা সদরের সৈয়দটুলা আর রূবেল মিয়ার বাড়ি উচালিয়াপাড়া গ্রামে। কিছুক্ষণ পর (১২ টার দিকে) সরাইল-অরূয়াইল সড়কের সরাইল পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে সৈয়দটুলা ও উচালিয়াপাড়া গ্রামের যুবককেরা লাঠিসোটা ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে আশপাশের শতাধিক দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। সড়কে যানবাহন চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। আধা ঘন্টা পর সরাইল থানার পুলিশ ও জেলা সদর থেকে আসা পুলিশ ধাওয়া করে সংঘর্ষে জড়িতদের ছত্রভঙ্গ করে। ততক্ষণে ৩ পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন-সুমন (২৮), আবদুল হান্নান (৫৮) ও আবু ইউসুফ (৫৭)। সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এম এম নাজমুল আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ এখন পরিবেশ শান্ত রয়েছে। উপজেলা সদরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কোনো পক্ষই আর মাঠে নামতে পারবে না।