রংপুরের পীরগঞ্জে উপজেলায় অনাবৃষ্টি বৃষ্টি ও বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য আগাম রবি ফসল উৎপাদনে ঝুঁকে পড়েছে কৃষককুল । রবি ফসলের মধ্যে পেঁয়াজ উৎপাদনে কৃষকদের মাঝে ব্যাপক আশার সঞ্চার হয়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ ও এলাকার কৃষকরা জানান, সাপ্রতিক সময়ের অতিবৃষ্টি ও বন্যায় পীরগঞ্জ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের কৃষকদের ১হাজার ৫শত ৬০ হেক্টর জমির আমন ধান সহ রবি শষ্যের ক্ষতি হয়েছে। ফলে কৃষকদের মাঝে চরম হতাশা দেখা দেয়। কৃষকদের এ হতাশা লাঘবে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ বন্যা কবলিত এলাকার কৃষকদের তালিকা প্রনয়ণসহ নানা ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। পাশাপাশি বন্যার ক্ষতি পুষিঁয়ে নিতে কৃষকদের নিয়ে আগাম পেয়াঁজ, আলু, ফুলকপি, বাধাঁকপি, মরিচ বেগুন, সিম, বর্বটি, মুলা, শরিষা, গম ভুট্টাসহ বিভিন্ন প্রজাতির শাক শব্জি উৎপাদনের উৎসাহ ও সরকার প্রদত্ত সরবরাহকৃত বিনামুল্যের বীজ ও সার সরবরাহ করে। মাঠ পর্যায়ে পীরগঞ্জ পৌরসভা সহ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে দায়িত্বরত সহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কৃষকের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে তাদের পরামর্শ প্রদান করে। ফলে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক ছাড়াও অন্যান্য অনেক কৃষকেই আগাম বিভিন্ন রবি ফসল উৎপাদনে ঝুকেছেন। ইতিমধ্যে অনেকেই শাক-শব্জি বিক্রি করে ভাল মুনুফা লুটতে শুরু করেছেন। পীরগঞ্জ পৌর এলাকাসহ উপজেলার রামনাথপুর,মিঠিপুর,বড়দরগাহ, রায়পুর, পাচগাছি, চতরা,কুমেদপুর, কাবিলপুরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকায় শত শত হেক্টর জমিতে আলু, ফুলকপি, বাধাঁকপি, মরিচ, বেগুন, শিম, বরবটি, মুলা, শরিষা, গম ভুট্টাসহ বিভিন্ন প্রজাতির শাক শব্জির সবুজ সমারোহ নজর কাড়ে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাদেকুল ইসলাম জানান,মাঠ পর্যায়ের সহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে প্রতিনিয়ত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষকদের উৎসাহ দিয়ে নতুন প্রযুক্তির প্রয়োগসহ বিভিন্ন রবিশষ্য চাষে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এতে সাড়াও মিলছে প্রচুর। তবে অধিক মুনাফার কারনে পিয়াঁজ চাষীর সংখ্যা একটু বেশী। চলতি মওসুমে এ উপজেলায় পেয়াঁজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ৯’শ ৩০ হেক্টর জমি। আগামী ১ মাসের মধ্যে শীতে মাত্রাতিরিক্ত কুয়াশা না হলে পেঁয়াজসহ প্রতিটি রবি শষ্যেই ভাল ফলন ও লাভবান হতে পারবেন কৃষকরা। যাতে অতিতের ক্ষতি অনেকটা পুষিয়ে নিতে পারবেন ।