রাঙ্গামাটির সীমান্তবর্তী বাঘাইছড়ি উপজেলায় শুক্রবার রাতে ঘন্টাব্যাপী গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার রাত এগোরটা থেকে বারোটা পর্যন্ত এ গোলাগুলি চলে বলে স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়। এ ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক দেখা দেয়।
উপজেলার তালুকদার পাড়া ও বাবু পাড়ায় এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আশরাফ উদ্দিন জানিয়েছে। তবে কাদের মধ্যে, কী কারণে এই বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে, সেই সম্পর্কে তাৎক্ষণিক কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনংহতি সমিতি সন্তু লারমা ও এম এন লারমা গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। তবে এ বিষয়ে আঞ্চলিক দলগুলোর দায়িত্বশীল কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, আমরা প্রায় ঘণ্টাব্যাপী দুই পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। গুলির প্রচন্ড শব্দে উপজেলা জুড়ে মানুষের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। কোনো পক্ষই এ পর্যন্ত আহত বা নিহত হওয়ার কোনো তথ্য জানায়নি বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর কবীর জানিয়েছেন, বাঘাইছড়ি উপজেলায় আঞ্চলিক দুটি সংগঠনের মধ্যে শুক্রবার রাতে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটতে পারে। এ ঘটনায় দুজন আহত হওয়ারও খবর পেয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। ফিরে আসলে বিস্তারিত জানা যাবে। এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।
আয়তনে দেশের সবচেয়ে বড় এই উপজেলায় আঞ্চলিক চারটি সশস্ত্র সংগঠনেরই অবস্থান রয়েছে। ফলে এখানে প্রায়শই আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সশস্ত্র সংঘাতের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এই উপজেলায় নির্বাচনী দায়িত্ব পালন শেষে ফেরার সময় সরকারি গাড়ি বহরে সশস্ত্র হামলায় ৮ সরকারি কর্মচারিও মারা যায়। বর্তমানে এই উপজেলায় দায়িত্ব পালন করছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনংহতি সমিতি (জেএসএস) এম এন লারমা গ্রুপের কেন্দ্রীয় নেতা সুদর্শন চাকমা। এর আগে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনংহতি সমিতি (জেএসএস) সন্তু লারমা গ্রুপের কেন্দ্রীয় নেতা বড় ঋষি চাকমা।